শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

অযত্নে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রাংশ!

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১
অযত্নে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রাংশ!

শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত। লালমনিরহাট প্রতিনিধি: জেলার হাতীবান্ধায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় যানবাহনসহ নানা যন্ত্রাংশ আর ব্যবহার হচ্ছে না। ব্যারাজের গোডাউনে অযত্নে বছরের পর বছর পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে শত কোটি টাকা সমমূল্যের যন্ত্রাংশ।  

জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী নামক এলাকায় তিস্তা নদীর ওপর ৫৬টি জলকপাট দিয়ে নির্মিত ব্যারাজটি দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। এ প্রকল্পে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ৫ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করা হয়।

ব্যারাজটির নির্মাণকাজ ১৯৭৯ সালে শুরু হয়ে ১৯৯০ সালে শেষ হয়। সেচ প্রকল্প ও ব্যারাজটি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ব্যরাজের কাজ শেষে দোয়ানী গোডাউনে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে ট্রাক, বেকার, ওযাগন, ঢালাই মেশিনসহ কয়েকশ কোটি টাকা মূল্যের দামি যানবাহন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। অযত্ন আর অবহেলায় এসব জিনিস দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় ব্যাবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সূত্রমতে, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এসব দামি যানবাহন ও যন্ত্রাংশ মেরামতের উদ্যোগ না নেয়ায় ব্যবহার ও চলাচলযোগ্য যানবাহন, যন্ত্রাংশগুলো রোদ-বৃষ্টিতে পুড়ে-ভিজে নষ্ট হচ্ছে ও চুরি হয়ে যাচ্ছে এর যন্ত্রাংশ। একসময়ের এসব সচল আধুনিক জিনিসগুলো বর্তমানে অচল হয়ে গেছে।

এদিকে গোডাউনে পরে থাকা জিনিসগুলো জং ধরে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার কারণে মেয়াদউত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিস্তা ব্যারাজের কর্মচারী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রয়োজনে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকার জিনিস ও যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয়, অথচ অর্থের অভাবে গোডাউনে পড়ে থাকা জিনিস ও যন্ত্রাংশসমূহ মেরামত করা হচ্ছে না। এসকল গাড়ি-ট্রাক সচল থাকলে দেশের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা যেত। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতি হচ্ছে।

ব্যারাজের গোডাউনের দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা ব্যারাজ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিলাস চন্দ্র এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকৌশলী আসফুদ্দৌলা বলেন, এ বিষয়ে একটি কমিটি হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সময় জার্নাল/আরইউ


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল