নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের স্বনামধন্য সাহিত্যিক, অধ্যাপক ও গণবুদ্ধিজীবী সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, ইউরোপের রেনেসাঁর মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের মধ্যে জ্ঞানের প্রতি আগ্রহের সঞ্চার করেছে।
১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭.০০ টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের বিশেষ আয়োজন ‘বিদ্যাপীঠ বৈঠকী’র ৪র্থ পর্বের অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। আলাপের সূত্র ছিলো ‘বেলা অবেলার গল্প’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা অনেক এগিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জন্য পথ-প্রদর্শকের কাজটি করেছে। স্বাধীনতার আগে ও পরে এই প্রতিষ্ঠান সব আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রামের তরুণরাই সবচেয়ে বেশি ভর্তি হয়। এটিও অবদান হিসেবে কম নয়। গ্রামের মধ্যবিত্তরা শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠায় এখানে রাজনীতিও সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি পীঠস্থান যেখানে রাজনীতি ও সংস্কৃতির দুটোর মিথষ্ক্রিয়া ঘটেছে। রাজনীতি গণমুখী হওয়ার পেছনেও এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে।
বর্তমানের ক্যাম্পাস-রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রনেতারা এখন শিক্ষকদেরও নিয়ন্ত্রণ করে। তবে, মাত্র ১০ শতাংশ শিক্ষকরাই রাজনীতি করে। অধিকাংশ শিক্ষকগণ তাদের নিজ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আমলাতান্ত্রিক জটিল কাঠামোতে তাদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় না। অথচ বাইরের অনেক দেশে আমলাদেরকে প্রতিদিনের কাজের হিসেব দিতে হয়। আমাদের দেশের সমস্যাটি কাঠামোগত। ব্যক্তিগত সদিচ্ছা থাকলেও অনেকেই অনেক ইতিবাচক কাজ করতে পারেন না। সুতরাং কাঠামোকেই বদলাতে হবে।
এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাক হিলস্ স্টেট ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক আহরার আহমদ অতিথিকে পরিচয় করিয়ে দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইফতেখারুল ইসলাম।
সময় জার্নাল/এমআই