আন্তর্জাতিক ডেস্ক। চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৮ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ কোটি ৬৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ লাখ ৬১ হাজার।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৭৭৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ২ হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৪৩৯ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ১২৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৮৬ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার ৫৪১ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৯২ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৯২৯ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৭ হাজার ৮৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৬ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৭৮১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ৮৩৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৯ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭০৯ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪০৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখ ১৯ হাজার ৮৩৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৭ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮১ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৪৯১ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৩৩ লাখ ১৫ হাজার ৫১২ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৮ জন।
প্রাণহানির তালিকায় ওপরের দিকেই রয়েছে মেক্সিকোর নাম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ২২১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ১৬১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫ লাখ ১৬ হাজার ৪৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬৯ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫০ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১২৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ২১৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৩২৯ জন। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৩ লাখ ৪০ হাজার ৬৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ১৬৭ জন মারা গেছেন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ জন, যুক্তরাজ্যে ৭২ লাখ ৮২ হাজার ৮১০ জন, ইতালিতে ৪৬ লাখ ১৩ হাজার ২১৪ জন, তুরস্কে ৬৭ লাখ ১০ হাজার ৬৬৬ জন, স্পেনে ৪৯ লাখ ১৮ হাজার ৫২৬ জন এবং জার্মানিতে ৪১ লাখ ৪ হাজার ২১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১৫ হাজার ৬৯৭ জন, যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৬ জন, ইতালিতে এক লাখ ৩০ হাজার ২৭ জন, তুরস্কে ৬০ হাজার ৩৯৩ জন, স্পেনে ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন এবং জার্মানিতে ৯৩ হাজার ৩১৯ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
সময় জার্নাল/আরইউ