সময় জার্নাল প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইতিহাসের মীমাংসিত সত্যকে বিকৃত করতে বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে।
তিনি রোববার (১৪ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ৭ই মার্চকে ছোট করার জন্যই এ দিবস পালন করেছে। সুবর্ণজয়ন্তী পালনে তাদের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইতিহাসের ফুট নোটকে ইতিহাসের মহানায়ক বানানোর অপচেষ্টা। জাতি এ ষড়যন্ত্র কোনো দিন বরদাশত করবে না।
এর আগে সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিং করেন। এ সময় তিনি বলেন, ইস্যু খুঁজে না পেয়ে বিএনপি এখন ব্যক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে কথা বলছেন, যা রাজনৈতিক সৌজন্যবোধের মধ্যে পড়ে না। তাদের দৃষ্টি এখন কে কী পোশাক পরল, কে কত টাকার ঘড়ি পড়ল ইত্যাদির দিকে। বিএনপি রাজনীতি ভুলে এখন ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেছে।
বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন গভীর হতাশায় নিমজ্জিত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হতাশার কারণে বিএনপি এখন তীব্র মনপীড়ায় ভুগছে, রাজনীতি ভুলে ব্যবহার্য বিষয় এখন তাদের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি নেতাদের পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অন্যের বিরুদ্ধে বলার আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন।’
আওয়ামী লীগ দেশে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবও দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, রাজতন্ত্র আর পরিবারতন্ত্র চর্চা বিএনপিরই রাজনৈতিক সংস্কৃতি। বিএনপির শাসনামলে বেগম জিয়ার পাশাপাশি এক যুবরাজ সরকারের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত। তিনি গড়ে তুলেছিলেন বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্র। যাকে বলা হতো দুর্নীতির বরপুত্র। অপরদিকে জনগণ চাইলেও প্রধানমন্ত্রী তার সন্তানদের সক্রিয় রাজনীতিতে আনেননি।
‘রাজতন্ত্র কিংবা পরিবারতন্ত্র তো তারাই প্রতিষ্ঠা করেছে, যারা দলে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতাদের বাদ দিয়ে একজন অপরাধীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে রেখেছে’ বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি নেতারা অদৃশ্য সুতার টানে নাচেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমালোচনার নামে প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও মিথ্যাচার চালাবেন, আর এর জবাব দিলে বিএনপির গাত্রদাহ হয়।’
সময় জার্নাল/এমআই