এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক স্কুলছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে এক লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে সংঘবদ্ধ একটি কিশোরগ্যাং চক্রের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বোয়ালমারী পৌর সদরের পশু হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় আহত স্কুলছাত্র নাইমুল ইসলাম নির্জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রের বাবা ডা. নুরুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী জর্জ একাডেমী স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. নাইমুল ইসলাম নির্জন বুধবার (১৫ই সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে স্কুল ছুটি শেষে বোয়ালমারী বাজারের স্বর্ণকারপট্টিতে অপেক্ষমাণ চাচা মনির হোসেনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে হাসপাতাল রোডস্থ বাড়িতে ফিরছিল। সে পুনরায় স্কুলের সামনে পৌঁছলে মো. রাহুল (১৬), কাজী খোয়াইব (১৫), মো. ইব্রাহীম (১৫)-সহ ১০-১২ জনের একদল কিশোর নাইমুলের গতিরোধ করে দাঁড়ায় এবং একপর্যায়ে তাকে টানা-হেঁচড়া করতে করতে পশু হাসপাতালসংলগ্ন নির্জন গলির মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে নাইমুলকে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে কাঠের বাটাম, লোহার রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। এতে সে নিস্তেজ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে কিশোর দুর্বৃত্তরা তার কাছে থাকা একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ও নগদ ওই এক লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে আশপাশের লোকজন নাইমুল ইসলামকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই বোয়ালমারী থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা ডা. মো. নুরুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অভিযুক্তরা সবাই চিহ্নিত কিশোর অপরাধী চক্রের সদস্য। তারা চরম নিষ্ঠুরভাবে আমার ছেলেকে মেরে টাকা লুটে নিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করছি।
বৃহস্পতিবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) ফরিদপুর বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল আলম বলেন, আসলে বোয়ালমারীতে সেরকম কোনো কিশোর অপরাধী চক্র গড়ে ওঠেনি। বিচ্ছিন্নভাবে হয়তো কেউ অপরাধে জড়াতে পারে। উল্লিখিত ঘটনায় একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সময় জার্নাল/এমআই