স্পোর্টস ডেস্ক : অবশেষে টি টোয়েন্টি ফর্মেটে মাঠে গড়াচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের গেল মৌসুমের খেলা। করোনা মহামারির বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে ১২ দলের অংশগ্রহণে ৬ মে থেকে,দেশের ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে গড়াবে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদার এই আসর। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ম ও বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
তবে গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের আগে প্রথম রাউন্ডের যে ম্যাচ হয়েছিল তা বাতিল করেছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম)। ফলে সম্পূর্ণ নতুন রুপে চালু হতে যাচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। আপাতত দুই উইন্ডোতে টুর্নামেন্ট পরিচালনার কথা ভাবছে সিসিডিএম। অনুমিতভাবেই টুর্নামেন্টে সুপার লিগ ও রেলিগেশন থাকছে।
রোববার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সিসিডিএম এর সভাশেষ সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
কাজী এনাম বলেন, ‘আজকে আমাদের সিসিডিএম এর সভা ছিল। গতবছর আমরা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চালিয়ে যেতে পারিনি। আমরা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগটাকে আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবং সেটার উইন্ডো যেটা পাচ্ছি মে মাসের ৬ তারিখে। সে সময়ে আমরা লিগটা শুরু করতে পারব। খুবই কঠিন পরিস্থিতি কারণ আমাদের হাতে খুব অল্প সময় আছে। আমরা দুইটা উইন্ডো তে ৬ দিন এবং আপাতত ১৫ দিন পেয়েছি, হয়ত আরও তিন দিন হয়ত যোগ করা যাবে। সেটা দিয়ে আমোদের টুর্নামেন্ট শুরু করতে হবে। এত সময় কম সময় পাওয়া গিয়েছে! সকল ক্লাবের প্রতিনিধির সঙ্গে আমরা আলাপ করেছি এবং একমত হতে পেরেছি যে আমাদের এই লিগটাকে যেটা করছি এটাকে টি টোয়েন্টি ফর্মেটে করতে হবে।’
‘গত বছর যে একটা ম্যাচ হয়েছিল এটা গতবছর লিগেরই ধারাকাহিকতা এবং সেই একটা ম্যাচ আমরা পরিত্যাক্ত/বাতিল (অ্যাবানড্যান্ট) করে দিচ্ছি। ওটা বাতিল করে আবার এটা চালু করছি এবং নতুন করে চালু করছি। কিন্তু গত বছর যেহেতু সব প্লেয়ার সাইনড ছিল, সব টিমের সাথে। সে সকল প্লেয়ার সে দলেই খেলবে। ক্লাবের দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। যেহেতু বেশিরভাগ ক্লাব ইতোমধ্যেই ৩০-৪০ পেমেন্টে দিয়ে দিয়েছে। যেহেতু সেটা হয়েছে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সকল প্লেয়ার যে ক্লাবের সঙ্গে ছিল সে ক্লাবেই থাকবে। সেভাবেই আমরা লিগটা করব। এবং এটা সম্পুর্ণ একটা লিগ হবে। এই লিগটার মধ্যে সুপার লিগ থাকবে, রেলিগেশনও থাকবে।’ যোগ করেন কাজী এনাম।
লিগের ভেন্যু নিয়ে সিসিডিএম চেয়ারম্যান জানালেন, ‘মিরপুর আছে, বিকেএসপির দুইটা মাঠ। সেখানে মূলত দিনে ছয়টা ম্যাচ হবে। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দিনে একেক মাঠে দুইটা করে ম্যাচ হবে। কাজেই সব দলের প্রতিদিন খেলা থাকছে। ’
গেল বছরের মার্চের ১৫ তারিখ মাঠে গড়িয়েছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকটের ২০১৯-২০২০ মৌসুমের খেলা। কিন্তু ওই মাসের শুরুতেই দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকলে প্রথম রাউন্ড শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য লিগ বন্ধ ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ১৯ মার্চ বিসিবিতে সংক্ষিপ্ত সভাশেষে দেওয়া এই ঘোষণার সময় তিনি আরো বলেছিলেন, দেখি ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয় কী-না। যদি হয় তাহলে ভেবে দেখব খেলা ফেরানো যায় কী-না। কিন্তু তখনও পরিস্থিতির উন্নতি হল না বলে সিসিডিএম নিজেরদের মধ্যে আলোচনা করে আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য লিগ স্থগিত করে দেয়। স্থগিত হয়ে যাওয়া সেই লিগটিই এবার প্রায় সাড়ে তেরো মাস পরে গড়াচ্ছে।
সময় জার্নাল/এমআই