আন্তর্জাতিক ডেস্ক।সময় জার্নাল : চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেমেছে সোয়া চার লাখের নিচে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এরপরই রয়েছে রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ কোটি ৮৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ লাখ ৯৯ হাজার।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৭৬৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ২ হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৬ লাখ ৯৯ হাজার ১৩৭ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৫৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৪২ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৮৯ লাখ ৬ হাজার ৮১১ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৪০৪ জন এবং মারা গেছেন ৮৪৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ২৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৬১ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর দৈনিক প্রাণহানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এই দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮০৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭৮৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার ৩২৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৫৪৭ জনের।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় ওপরের দিকেই রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৭৯৯ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২০ হাজার ৩২৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭২ লাখ ৫৪ হাজার ৭৫৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪২৫ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ১২১ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ১০ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬৯ জন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ১৯২ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৮৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৮ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮৫ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩২৩ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫৫ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৪৭ জন। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৪ লাখ ৮ হাজার ৮৬০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯১ জন মারা গেছেন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫১৯ জন, যুক্তরাজ্যে ৭৪ লাখ ৭৩৯ জন, ইতালিতে ৪৬ লাখ ৩২ হাজার ২৭৫ জন, তুরস্কে ৬৮ লাখ ২০ হাজার ৮৬১ জন, স্পেনে ৪৯ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৬ জন এবং জার্মানিতে ৪১ লাখ ৪৬ হাজার ১২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১৬ হাজার ২ জন, যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৪৭ জন, ইতালিতে এক লাখ ৩০ হাজার ২৮৪ জন, তুরস্কে ৬১ হাজার ৩৬১ জন, স্পেনে ৮৫ হাজার ৭৮৩ জন এবং জার্মানিতে ৯৩ হাজার ৫৫৫ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
সময় জার্নাল/আরইউ