সময় জার্নাল ডেস্ক : আজ সোমবার বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিব বর্ষে শপথ করি-প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি’। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে উল্লেখ করেন, পণ্যের ন্যায্যমূল্য ও গুণগত মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’ প্রণয়ন করেছে। আইন প্রণয়নের পাশাপাশি এর যথাযথ প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তাদের আস্থা অর্জনে আরো বেশি সচেষ্ট থাকবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও সেবা প্রদানে যে কোনো অনিয়ম মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। তাই খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি রাখা প্রয়োজন। একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পলিথিন ও প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নত দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের জনগণের জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের বিষয়ে অধিক মনোযোগী। এ লক্ষ্যে আমাদের সরকার ২০০৯ সালে ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’ প্রণয়ন করে ও আইনের সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। উন্নত নাগরিক জীবনের অন্যতম সূচক হচ্ছে নিরাপদ পণ্য ও উন্নত পরিসেবা পাওয়ার অধিকার। সব ব্যবসায়ী ও ভোক্তার প্রতি আমার অনুরোধ প্রত্যেককেই অধিকার সচেতন হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হতে হবে। তাহলেই একটি সুস্থ, আস্থাশীল বাজার ব্যবস্থা তৈরি হবে যার ফলে গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আজ বিকাল ৩টায় রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
সময় জার্নাল/আরইউ