টি আই তারেক, যশোর: যশোরে ইন্টার্ন ডাক্তারদের সাইন্টিফিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ২০৫০ সালে ক্যান্সার এবং এইচআইভিতে যত মানুষ না মারা যাবে, তার চেয়ে বহুগুন মানুষ মারা যাবে এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্সে। এজন্য যত্রতত্র এন্টিবায়োটিক মেডিসিন এর ব্যবহার একেবারে কমানোর পরামর্শ তাদের।
২৬ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় যশোর শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘সার্জিকাল সাইট ইনফেকশন এন্ড ইট’স ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ।
আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ যশোরের সার্জারি বিভাগ এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ আবু আহসান লাল্টু চেয়ারপার্সন ছিলেন। প্রধান অতিথি ছিলেন আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ কামাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সন্জয় সাহা, গাইনি এন্ড অবস্ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ বদরুন্নেছা বেগম এবং অত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইমদাদুল হক।
সেমিনারে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, সার্জিকাল সাইট ইনফেকশন একটি অত্যন্ত যুগোপযোগি বিষয়। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ইনফেকশন কমানো। ভালো সার্জন এবং ভালো ডাক্তার হওয়ার পাশাপাশি ইন্টার্ন ডাক্তারদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার পরামর্শ দেন তিনি। আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজের অন্যান্য বিভাগগুলো ধারাবাহিকভাবে এই ধরনের সেমিনারের আয়োজন করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপাধ্যক্ষ সহযোগি অধ্যাপক ডাঃ সনজয় সাহা তার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইর্ন্টান ডাক্তারদের, যখন তখন এন্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহারের প্রবনতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মত দেন।
গাইনী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ বদরুন্নেছা বেগম তার বক্তব্যে বলেন, আমরা ইতিমধ্যে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ব্যাপারে একটি গাইডলাইন মেনে চলার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
সার্জিকাল সাইট ইনফেকশন বিষয়ের উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সেমিনারের চেয়ারপার্সন আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এর সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ আবু আহসান লাল্টু। তিনি বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমরা দিনকে দিন এডভান্স করছি। আজকে যে জিনিসটা নিয়ে আমরা চলছি। হয়তো উন্নত বিশ্ব আগেই তা বাতিল করে দিয়েছে।
সেমিনারের প্রধান স্পীকার ডাক্তার তাজিন আহসান বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক নির্ভর হয়ে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি রপ্ত করা যাবে না। তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর গবেষণা এবং বিভিন্ন মেডিকেল জার্নাল অনুসরণ করা।
এছাড়া আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ থেকে সদ্য এমবিবিএস পাশ করা ইন্টার্ন ডাঃ রাজিয়া সুলতানা জিসা এবং ডাঃ সংগিতা বসু তাদের প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডাঃ এএসএম রিজওয়ান। সেমিনারে আদ্-দ্বীন সকিনা উইমেন্স মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং ৫ম ব্যাচের এমবিবিএস উত্তির্ণ ইন্টার্ন ডাক্তারগণ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার শেষে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
সময় জার্নাল/এমআই