আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে অন্যতম বড় শহর ইয়াঙ্গুনে বেশ কয়েকটি চীনা অর্থায়নের কারখানা ভাঙচুর করে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৪ মার্চ) দেশটির চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।
খবরে বলা হয়েছে, দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, জ্বালিয়ে দেওয়া কারখানাগুলো চীনা অর্থায়নে চলছিল। এখানে ভাঙচুরের ঘটনায় কয়েকজন চীনা নাগরিকও আহত হয়েছেন। তবে কারা এ কাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি, কোনো গোষ্ঠীও এ ঘটনার দায়ভার স্বীকার করেনি।
দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সকল সহিংসতা বন্ধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে মিয়ানমারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছে চীন। আইন অনুসারে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হোক এবং মিয়ানমারে চীনা নাগরিকদের জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হোক। বিবৃতিতে চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা যাতে আইন মেনে নিজেদের দাবি প্রকাশ করেন।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি এক বিতর্কিত সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। কারাবন্দি করা হয় দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চিসহ ক্ষমতাসীন দলের অধিকাংশ নেতাকে। দেশজুড়ে আগামী এক বছরের জন্য জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
পরবর্তীতে জরুরি অবস্থা ভেঙে রাজপথে নেমে আসে মিয়ানমারের সর্বস্তরের জনতা। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে প্রায় ১০০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে ২ হাজারের বেশি মানুষকে। এ ছাড়া পুলিশি হেফাজতে সু চির দলের আরও দুই নেতার মৃত্যু হয়েছে।
সময় জার্নাল/এমআই