সর্বশেষ সংবাদ
জুবায়ের আহমেদ : সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত আড়ং এর সেলসম্যান হিসেবে একজন প্রার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও শুধুমাত্র দাঁড়ি থাকার কারনে চাকুরীতে যোগ দিতে পারেননি। সেই ভাইটিও আড়ং এর শর্ত মানেননি। রাসুল (সঃ) এর সুন্নাত ও নিজের স্বাভাবিক অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ায় তিনি চাকুরীকে নয় দাঁড়িতেই আস্থা রেখেছেন।
কথা হলো, আড়ং কিংবা সেলসম্যান/মার্কেটিং অফিসার নিয়োগ দেয় বা বহু প্রতিষ্ঠানেই কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দাঁড়ি এলাও করে না। এর কারন কি? এটা কি ধর্মবিদ্বেষীতা নাকি অন্য কিছু। এই বিষয়ে আমার বেশি আইডিয়া নেই।
তবে বহু প্রতিষ্ঠানের সেলসম্যান/মার্কেটিং অফিসারদের সাথে পরিচয় থাকার সুবাদে বুঝতে পেরেছি যে, প্রতিষ্ঠান স্মার্ট স্টাফ চায়। কথাবার্তায় মার্জিত হওয়ার পাশাপাশি দেখতে সুদর্শন এমন স্টাফ চায়। যার কারনে দাঁড়ি এলাও করে না অনেক প্রতিষ্ঠান।
অমুসলিম ব্যক্তির কোন প্রতিষ্ঠান হলে আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু মুসলিম মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হলে দাঁড়ি এলাও না করার কাজটি যে, ধর্মকে অবমাননার পর্যায়ে চলে যায় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা কি তা খেয়াল করেন? সেই সাথে ব্যক্তি স্বাধীনতাও খর্ব করা হয় এর মাধ্যমে।
দাঁড়ি রাসুল (সঃ) এর সুন্নাত ১৪০০ বছর পূর্ব থেকেই। মুসলিমরা দাঁড়ি রাখেন রাসুল (সঃ) কে ভালোবেসে এবং ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কয়েক বছর ধরে দাঁড়ি রাখার হিরিক পরেছে বিশ্বে। তরুণরা দাঁড়ি রাখছে, হউক স্টাইল করে। দাঁড়ি রাখছে অন্য ধর্মের মানুষরাও। বিশ্বসেরা ক্রীড়াবিদ মেসি, ভিরাট কোহলী, শন উইলিয়ামসন সহ বিভিন্ন মাধ্যমের বহু তারকা দাঁড়ি রাখছেন।
দাঁড়ি রাখাই এখন স্মার্টনেস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই অবস্থায় কোন প্রতিষ্ঠান এখনো তাদের সেলসম্যান/মার্কেটিং বিভাগ কিংবা অফিসিয়াল স্টাফদের জন্য দাঁড়ি এলাও না করার বিষয়টি হাস্যকর, ব্যক্তি স্বাধীনতাহরণ, ধর্মবিদ্বেষীতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
দাঁড়ি রাখা না রাখা নাগরিক অধিকার। এ অধিকার খর্ব করা উচিত নয়। আবার বর্তমানে যেখানে দাঁড়ি রাখাই স্মার্টনেস হিসেবে মনে করে করা হয় এবং বিশেষ করে তরুণীরাও যেখানে দাঁড়ি রাখা ছেলেদের পছন্দ করে। সে জায়গায় কোন প্রতিষ্ঠানের চাকুরীতে দাঁড়ি এলাও না হওয়ার পেছনে কোন যুক্তিসঙ্গত কারন থাকতে পারে না।
আড়ংকে অনেকেই বয়কট করছে, বয়কটের ডাক দিচ্ছে। তারা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত কিংবা দাঁড়ি রাখা ব্যক্তিদের চাকুরীতে নিয়োগ দেওয়া না পর্যন্ত এই বয়কট চলবে হয়তো।
কোন প্রতিষ্ঠান বয়কট নিয়ে আমার মাথা ব্যথা না থাকলেও প্রতিষ্ঠান সংশিষ্টদের ভাবতে হয় দাঁড়িতে দোষের কিছু নেই, অযোগ্যতার কিছু নেই। কাস্টমারদের বিব্রত কিংবা বিমুখতার কিছু নেই। শুধু দাঁড়ি কেনো, ধর্মীয় পোষাক হলেও তাতে সমস্যার কিছু নেই।
আমি আশা করবো শুধু আড়ং নয়, এমন মানসিকতার সকল প্রতিষ্ঠান তাদের মানসিকতা পরিবর্তন করবে, ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধকে সম্মান জানাবে।
লেখক : প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম।
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল