সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৫৬৫ জন সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়েছে। এখন এসকল শিশুদের কথা শেখানোর মাধ্যমে তাদের পুরোপুরি সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেয়া হবে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সফল করতে সার্জন, অডিওলজিস্ট, স্পিচথেরাপিস্ট এবং এসকল শিশুর মায়েদের অন্যন্য ভূমিকা পালন করতে হয়।
সোমবার (৪ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকে মাল্টিপারপাস হলে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করা সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের ভাষা শেখানোসহ সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট হেবিলিটেশন ওয়ার্কশপে (কর্মশালা) এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে শুভ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।
সভাপতিত্ব করেন কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. এএইচএম জহুরুল হক সাচ্চু। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাক কান গলা বিভাগের চেযারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আজহারুল ইসলাম। ফরেন ফ্যাকাল্টি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশেষজ্ঞ অস্ট্রিয়ার ক্রিস্টিয়ান স্টিফেন, তনিকা মাহাতো, ডাগমার হাররমান্নোভা।
উল্লেখ্য, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা পদ্ধতি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই মহতী চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে কানে শুনতে না পাওয়া ও কথা বলতে না পারা শিশুরা কানে শুনতে পারছে ও কথা বলতে পারছে। অনেক পিতা মাতা তাদের প্রিয় সন্তানের মুখ থেকে মা-বাবা ডাক শুনতে পেয়েছেন যা তাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার।
সময় জার্নাল/ইএইচ