মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার (ডিএসও) নাজমুল তরফদারকে (৩২) পিটিয়ে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ছাত্রলীগের নামধারীরা।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার চিল রেস্টুরেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দুপুর ১.১০ মিনিটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত নাজমুল তরফদার সরিষাবাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র (কাউন্সিলর) আব্দুল হক তরফদারের ভাতিজা ও শিমলাবাজারের সোলাইমান তরফদারের ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিকাশের কর্মকর্তা (ডিএসও) নাজমুল তরফদার জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলতা হল রোডের চিল রেস্টুরেন্টের সামনে একটি দোকানে বসে বিকাশের স্টাফ লেলিন, জুয়েল, কাজলকে নিয়ে তিনি হিসাব-নিকাশ করছিলেন। পাশেই বিকাশের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। এসময় অতর্কিতভাবে ছাত্রলীগের কর্মী শরীফ আহমেদ নীরব, নাঈমুর রহমান দূর্জয়, জুয়েল রানা জিতু, সুমন, সরোয়ারসহ ৮-১০ জন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। তারা নাজমুল তরফদারকে রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং কাছে থাকা বিকাশের প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার নগদ টাকা, ১৫ হাজার টাকা দামের একটি স্মার্টফোন ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
নাজমুল তরফদার অভিযোগ করেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীরা গত পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত এক কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে ছিল। কিন্তু তাঁর চাচা আব্দুল হক তরফদার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তাঁরা আমার ও পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল এবং বিভিন্ন সময় হুমকি দিত।
নাজমুল তরফদারের মা নাজমা বেগম জানান, সন্ত্রাসীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায়। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল-আমিন হোসাইন শিবলু জানান, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ না, তাদের কোনো পদ-পদবী নেই। তারা ছাত্রলীগের নামদারী সন্ত্রাসী। কিন্তু তাদের অপকর্মে দায় ছাত্রলীগ নেবে না।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি।
সময় জার্নাল/এমআই
