আদালত প্রতিবেদক।সময় জার্নাল : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতা সত্ত্বেও স্থায়ী জামিন পেলেন ঢাকা চলচ্চিত্রের চিত্রনায়িকা পরীমনি।
রোববার (১০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালত জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয়।
পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা জামিনের স্থায়ী পিটিশন চেয়ে শুনানি করি। রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করছে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
অন্যদিকে, গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন জনপ্রিয় এই নায়িকা।
গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন ৫ আগস্ট বিকালে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমনিকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড এবং পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন পরীমনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সরবরাহ করে পার্টি করতেন।
পরীমনির সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০১৪ সালে। সেই থেকে তিনি এ পর্যন্ত ৩০টি চলচ্চিত্র ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমনিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ। সেখান থেকেই রাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পরীর।
এর আগে রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি হাজির হন। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালতে হাজিরা দেন।
সময় জার্নাল/আরইউ