মুরাদ ইমাম কবির। হিলি প্রতিনিধি : নির্বাচিত হওয়ার পর মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ৭ মাস। এই অল্প সময়েই নিজেকে আলাদাভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী। এমনটিই মনে করেন বিরামপুর পৌর এলাকার সাধারণ মানুষ।
বিরামপুর পৌর নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হন অধ্যক্ষ আক্কাস আলী। জয়ী হওয়ার পর থেকে বিরামপুর পৌরসভাকে আধুনিকায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। পরিকল্পনা মোতাবেক পৌরবাসীকে নানা ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে এবং পৌরসভার উন্নয়নে দিন রাত ছুঁটে চলেছেন তিনি। কাউন্সিলরদের নিয়ে তদারকি করেন প্রতিটি ওয়ার্ডের উন্নয়ন মূলক কাজ।
বিগত দিনের ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে এক নতুন শহর। ড্রেনেজ সমস্য সমাধানের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নয়ন, পৌর শহরের রাস্তাঘাটের সংস্কার, মাছ বাজার, কাঁচা বাজার ও ঐতিহ্যবাহী পশুহাট পাকা করণ, মহাসড়কের ডিভাইডারের মাঝে শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে ফুলের চারা রোপন ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটাতে শুরু করেছেন। জনসম্মুখে আসতে শুরু করেছে তার আন্তরিকতা।
গত ৩০জুন বিরামপুর পৌরসভার উন্নয়নের জন্য প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। সরকারের পক্ষ থেকে মোটা অঙ্কের বরাদ্দ না মিললেও পৌরসভার নিজ অর্থায়নে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজ অব্যহত রেখেছেন। তিনি মনে করেন সরকারের পক্ষ থেকে বড় ধরনের বরাদ্দ মিললে বিরামপুর শহরের রাস্তাঘাট আর ভাঙা থাকবে না।
মেয়র আককাস আলী বলেন, স্থানীয় জনমানুষের ভাগ্য উন্নয়নে চেষ্টা ও তার সু-দূরপ্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। পরিকল্পিতভাবে পৌর শহরে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ চলমান রয়েছে। সবার সহযোগিতায় আগামীতে আরো পৌর এলাকায় আরো সমৃদ্ধি ঘটবে।
তিনি আরো বলেন, বিরামপুরবাসীর দেয়া এই সম্মানের প্রতিদানস্বরূপ বিরামপুর শহরকে ঢেলে সাজাব এবং সকলের পরামর্শক্রমে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারব বলে আমি আশাবাদী। সেই পথচলার প্রথম ধাপ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদে আমি মেয়র হয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিরামপুরবাসী তাদের ভালোবাসা দিয়ে আমাকে আগলে রাখবেন।
সময় জার্নাল/আরইউ