নোমান ইমতিয়াজ, রাবি প্রতিবেদক:
দেশব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি, মন্দির ও ম-পে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘রাষ্ট্রীয় মদদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে মহানগর ও বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশন এই দাবি জানায়।
সংহতি সমাবেশে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের ধর্মীয় ভেদাভেদ, সহিংসতা, সাম্প্রদায়িক আচরণ নেই। আমরা সবাই মিলে এখানে বসবাস করতে চাই। এই শান্তি আপনারা নষ্ট করবেন না।’
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘যখন দেশে একটি ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট মহলের স্বার্থে লাগামহীনভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, সাধারণ মানুষের মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, বিক্ষোভের দানা বাঁধছে, ঠিক তখনই নতুন ঘটনা দরকার। এই যে সরকারের বিরুদ্ধে রোষ, সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের বিক্ষোভ, এই বিক্ষোভ থেকে জনগণের দৃষ্টিকে আড়াল করার জন্য এই সরকারের নতুন নতুন ঘটনা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কুমিল্লাসহ সারা দেশে যে ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি হয়েছে, রংপুরে একটি গ্রামকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটি স্পষ্টভাবে এই সরকারের একটি সাজানো ঘটনা।’
ধর্ষণবিরোধী নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক মীরা সুস্মিতা বলেন, ‘আমি আমার ১৯ বছরের জীবনে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কারোর ক্ষমতার স্মৃতি আমার মাথায় নেই। তো এই সবের দায় কার সেটা আমরা সবাই জানি। আমরা যদি এসব নিয়ে কথা বলতে না চাই, তাহলে আসলে কিছু হবে না। এ রকম দেশ তো আমরা চাইনি। কিন্তু গত চৌদ্দ বছর ধরেই এগুলো চলছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় এবং মহানগর শাখার আহ্বায়ক জিন্নাত আরা'র সভাপতিত্বে সংহতি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর শাখার রাজনৈতিক শিক্ষা সম্পাদক নাদিম সিনা, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সমন্বয়ক মহিউদ্দিন মানিক প্রমুখ।
সময় জার্নাল/এলআর