মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ী-ঘর, পুজামন্ডপ, মঠ-মন্দিরে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, পুজারী হত্যা, লুটপাট ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে দিনাজপুরে গণঅনশন-গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (২৩ অক্টোবর ২০২১) সকাল ১১ টায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার আয়োজনে দিনাজপুর প্রেসক্লাব সম্মুখ সড়কে এই কর্মসূচী পালন করে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের সংসদ সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা মামলার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট মামলাগুলো দ্রুত বিচার আইনে এবং বিশেষ ট্রাইবুনাল করে নিষ্পত্তি করতে হবে। সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিচার এবং বিচারের রায় কার্যকর না করার কারণে অপরাধীরা পরপর হামলার সাহস পাচ্ছে। শুধু ইকবালকে গ্রেপ্তার করলেই হবে না, ইকবালের গডফাদারদেরও চিহ্নিত করতে হবে এবং আইনের আওতায় আনতে হবে।
মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি আরো বলেন, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্মের রক্তের আল্পনায় অর্জিত যে বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশে বিশেষ কোন সম্প্রদায়ের অধিকার থাকতে পারে না। তিনি বলেন, সনাতন ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, খ্রিষ্টান ধর্মকে সাংবিধানিকভাবে অধিকার দিতে হবে। কারো খাম-খেয়ালিপনার কারণে কোন জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু’র সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের প্রগতির পথে অবস্থান করতে হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
গণঅনশন-গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিলে দিনাজপুর রাজ দেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট রনজিৎ সিং, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক রতন সিং, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি স্বরুপ কুমার বকসী বাচ্চ, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায়সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গণঅনশন-গণঅবস্থান শেষে মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি’র নেতৃত্বে প্রেসক্লাব থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সময় জার্নাল/এলআর