শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রথম জয়

রোববার, অক্টোবর ২৪, ২০২১
ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রথম জয়

স্পোর্টস ডেস্ক: মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কোনো তাড়াহুড়ো করলেন না দুই পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। সাবধানী শুরুর পর ধীরে ধীরে জুটি গড়ার পাশাপাশি দুজনেই হাত খুলতে শুরু করলেন।

লক্ষ্যটাকে একসময় মামুলি বানিয়ে ফেললেন। অবশেষে দুজনের ব্যাটে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবার ভারতকে হারালো পাকিস্তান। সেই জয় এলো ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে!
টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ১০ উইকেটে হার হজম করেনি ভারত। অন্যদিকে, পাকিস্তানও এই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেটের জয় পেল।  তা-ও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। শুরুতে ব্যাট করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের মাঝারি পুঁজি সংগ্রহ করে। জবাবে ১৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাবর আজমের দল।  

এই নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ষষ্ঠবারের দেখায় ভারতকে হারালো পাকিস্তান। অর্থাৎ জয়ের ব্যবধান নেমে এলো ৫-১ এ। শুধু কি তাই, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ মিলিয়ে দুই দলের ১৩ বারের দেখায় এটাই পাকিস্তানের প্রথম জয়। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সবমিলিয়ে নবমবারের দেখায় এটা পাকিস্তানের মাত্র দ্বিতীয় জয়।  

ভারতের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলে বাজে বলে শট খেলার পথ ধরেন রিজওয়ান ও বাবর। ভারতীয় বোলাররাও কার্যত এই দুজনকে কোনো বিপদে ফেলতে পারেননি। রিজওয়ান শুরুতে দ্রুত রান তুললেও ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করা বাবর আগে ফিফটি স্পর্শ করেন। ৪০ বলে বাবর এবং ৪১ বলে ফিফটির দেখা পান রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত রিজওয়ান ৫৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৭৮ রান এবং বাবর ৫২ বলে ছয় চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টসে জিতে কোহলিদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। দুই 'বুড়ো' মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিককে নিয়ে একাদশ সাজায় পাকিস্তান। অন্যদিকে ভারতের একাদশ থেকে বাদ পড়েন অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। আফ্রিদির করা ওভারের চতুর্থ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন রোহিত শর্মা। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মারেন ভারতীয় ওপেনার। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুলকে বোল্ড করে ফেরান আফ্রিদি।  

দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তাদের জুটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দলকে ৩১ রানে রেখে আরেক পাকিস্তানি পেসার হাসান আলীর বলে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন সূর্যকুমার (১১)।  দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর ভারতকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে দেখাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি ও ঋষভ পন্থ। কিন্তু তাদের প্রতিরোধ ভাঙেন শাদাব খান।

এরপর কোহলি নিজেকে গুটিয়ে নিলেও পন্থ দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগ দেন। এর মধ্যে হাসান আলীর বলে 'এক হাতে' পরপর দুই ছক্কাও হাঁকান এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে তাকে বেশিদূর যেতে দেননি শাদাব খান। এই পাকিস্তানি স্পিনারের বলে সোজা ক্যাচ তুলে দেন পন্থ, নিজেই ক্যাচ ধরেন বোলার। তবে বিদায়ের আগে কোহলির সঙ্গে ৪০ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন পন্থ, নিজে করেন ৩০ বলে ৩৯ রান।

দলের বিপর্যয়ে অধিনায়কোচিত ব্যাটিং করে ফিফটি তুলে নেন কোহলি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের ২৯তম ফিফটি তুলে নিতে তিনি খেলেন ৪৫ বল। তবে কোহলির ফিফটির পর হাসানের বলে তুলে মারতে গিয়ে বিদায় নেন রবীন্দ্র জাদেজা (১৩)। কিন্তু কোহলিও ফিফটির পর ইনিংস বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি। ১৯তম ওভারে আফ্রিদির তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৯ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৭ রান। ওই ওভারেই আফ্রিদির এক নো বল আর লেগ বাই মিলিয়ে আসে ১৭ রান। কিন্তু পান্ডিয়ার ক্যামিও থামে ১১ রানেই।  

বল হাতে পাকিস্তানের আফ্রিদি নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া হাসান আলী ২টি এবং শাদাব ও রৌফ ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন।

ম্যাচ সেরা: পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।  

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল