ইমাম মেহেদি: ফরিদপুরের মেয়ে তনুশ্রী দাস।পড়াশোনা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টে ২০১৮-২০১৯ সেশনে।
পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের অবসর কাজে লাগানোর জন্য উদ্যোগ নেন ঘরে বসে কিছু করার। আর এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করে ফেসবুকে একটা পেজ খোলেন। পেজের নাম রাখলেন ‘খাঁটি ঘর’।
শুরুটা ২০২০ সালের প্রথমে। সেই থেকে অনলাইন প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে দেশি পণ্যের সমাহর নিয়ে পসরা বসান নিজ বাসায়। প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে আয়ের পথ বেছে নেন। পাশাপাশি নিজেও পার করছেন ব্যস্ত সময়।
চায়ের কাপে চুমুকের মাঝে এসব বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিলো তনুশ্রীর সঙ্গে। মাঝে মাঝে গল্প ধরিয়ে দিচ্ছিলেন জীবনসঙ্গী নিলয় দাস নয়ন। তিনিও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। কথার মাঝে মজা করে তনুশ্রী জানালেন, শুধু কথার মাঝে নয়, আমার কাজের মধ্যেও খুব সাহায্য করে আমাকে। উদ্যোগটা যদিও আমার কিন্তু নিলয় দাস নয়ন আমাকে কাজের শুরু থেকেই উৎসাহ দেন। আমরা দুজন মিলেই অবসর সময়ে কাজ করি।
দিনে দিনে ব্যবসার পরিধি ও আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।‘খাঁটি ঘর’ এর পন্য এখন পরিচিত। তনুশ্রীর ব্যবসা এখন বাংলাদেশের ৫৮টি জেলায়। শুরুটা দু-একটি পণ্য দিয়ে হলেও এখন অনেক পন্যর অর্ডার নেন। আবার নিয়মিত নিজ দায়িত্বে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। দ্রুত পণ্য সরবরাহের জন্যও আছে আলাদা ব্যবস্থা।
হারবাল হেয়ার অয়েল, হেয়ার প্রোটিন প্যাক, প্রাকৃতিক চাকের খাঁটি মধু। এছাড়াও রয়েছে এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল, এক্সট্রা ভার্জিন ক্যাস্টর অয়েল, সরিষার তেল, পিপারমেন্ট অয়েল, তুলসী অয়েল, গ্রীণ টি অয়েল, মোরিংগো সীড অয়েল, গাজর তেল, এভোকাডো অয়েল, সূর্যমুখী তেল । খাঁটি ঘরের সব পণ্য শতভাগ খাঁটি।
আগামী দিনে আরোও বেশি পণ্যের পসরা সাঁজিয়ে ব্যবসাটাকে আরও বড় করার ইচ্ছার কথা জানালেন। সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। ঘরে বসেই গ্রাহক যাতে খুব সহজে পণ্য অর্ডার ও গ্রহণ করতে পারেন নিশ্চিন্তে এর জন্য পরিকল্পনা রয়েছে বড় পরিসরে।
সময় জার্নাল/আরইউ