সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর পর প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুল কাঙ্খিত সাধারণ জরুরি বিভাগ ১০০টি শয্যা নিয়ে চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। এরফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘণ্টাই মিলবে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা। সোমবার (১লা নভেম্বর) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে কেবিন ব্লকে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ সাধারণ জরুরি বিভাগের শুভ উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা ও গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সাধারণ জরুরি বিভাগের বিকল্প নাই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম শুরু করা ছিল বহুল আকাঙ্খিত বিষয়। আরো আগেই এই কার্যক্রম শুরু করার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রকোপের কারণে তা সম্ভব হয়নি। সাধারণ জরুরি বিভাগ চালু হওয়ায় এখন থেকে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবার দ্বার আরো প্রসারিত হলো। মাননীয় উপাচার্য জানান, বর্তমানে ১০০টি শয্যা নিয়ে সাধারণ জরুরি বিভাগ চালু হলেও পরবর্তীতে শয্যা সংখ্যা ২০০ তে উন্নীত করা হবে। এছাড়াও গাইনী, নবজাতক, অর্থোপেডিক, নিউরোসার্জারি, কার্ডিওলজিসহ বিভিন্ন বিভাগে বিদ্যমান জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।
মহতী ও স্মরণীয় এই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, পরিচালক (হাসপাতাল) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম খান, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. এইচ এম জহুরুল হক সাচ্চু প্রমুখসহ সম্মানিত ডীনবৃন্দ ও বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রখ্যাত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ, বিশিষ্ট সংগঠক অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের মাত্র ৭ মাসের মধ্যেই এই ঐতিহাসিক অর্জনটি সম্ভব হলো।
সময় জার্নাল/ইএইচ