এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের সরকারি নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘বোয়ালমারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই প্রয়োজনীয় জনবল সংকটে ধুঁকে ধুঁকে চলছে অর্ধশত বছরের পুরোনো এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
এখানে সাড়ে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে নিয়মিত শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৬ জন। আর গণিত, ইংরেজির মত সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, বোয়ালমারী পৌর সদরের গোহাটা খেলার মাঠ সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৮৮ সালে এটি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫৪ জন। এসব শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকের পদ রয়েছে ১১ টি। কিন্তু এই পদের বিপরীতে বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৬ জন। এ ছাড়া খণ্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন।
গত পাঁচ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক এবং দুই বছরের অধিক সময় ধরে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে প্রধান শিক্ষক নেই। আর সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই থেকে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই থেকে এ টি এম চুন্নু মিয়া দায়িত্ব পালন করছেন।
ফরিদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষা খাতের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতিক হার ৩০ঃ১ হওয়ার কথা অর্থাৎ ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক। অথচ এই বিদ্যালয়টিতে ১০৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন নিয়মিত মাত্র ১ জন এবং খণ্ডকালীন শিক্ষকসহ অনুপাতিক হার দাঁড়ায় ৬৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক।
শিক্ষক ছাড়াও বিদ্যালয়টির দপ্তরি, অফিস সহকারী ও নৈশ প্রহরীর পদও শূন্য রয়েছে। এই সংকটের মধ্যেই কোনোমতে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছে বিদ্যালয়টি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ টি এম চুন্নু মিয়া এ ব্যাপারে বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা কম। জনবল সংকটের কারণে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে বিদ্যালয়ের শূন্য পদ পূরণের জন্য গত সেপ্টেম্বরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালক বরাবর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর