নিজস্ব প্রতিনিধি: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে আমরা একাত্তরের একটি চেতনা ও আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। সেভাবেই ৭ নভেম্বর আমাদের সিপাহী জনতা সংহতি প্রকাশ করেছিল। এরপরই দেশে গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল।
রোববার সকালে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদেরকে এসব কথা বলেন তিনি।
৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দলের সিনিয়র ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার মাজারে আসেন বিএনপি মহাসচিব সহ-সিনিয়র নেতারা। পরে তারা শহীদ জিয়ার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অত্যন্ত দুঃখনজনক যে আজকে দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে তারা নির্মমভাবে ধ্বংস করেছে। দেশে মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই এবং গণতন্ত্র নেই। দেশে ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, আমিনুল হক, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, নূরুল ইসলাম নয়ন, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো: নেছারুল হক, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, মো: আবদুর রহিম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মো: মজিবুর রহমান, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী।
সময় জার্নাল/এলআর