মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি :
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সারকারখানা প্রতিষ্ঠান যমুনা সারকারখানার থেকে দেশের ২৩ জেলায় তৃতীয়দিনের মতো ইউরিয়া সার সরবরাহ বন্ধ রেখেছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি ট্রাক চালক শ্রমিক ও মালিক ইউনিয়ন পরিষদ সমিতি। এতে চলতি মৌসুমে কৃষিখাতে ২৩ জেলায় সার সংকট দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে ১৯৯২ সালের জানুয়ারি মাসে দেশের এ সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়, প্রতিষ্ঠার পর দেশের উত্তরাঞ্চলসহ প্রায় ২৩ টি জেলায় সারের চাহিদা পূরণ করে আসছে বৃহৎ এ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে শ্রমিক এবং মালিকদের মধ্যে এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, ফলে সারাদেশের ন্যায় তারাও অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন, ফলে স্থবির হয়ে পড়ে সার সরবরাহ।
ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও এখন পর্যন্ত তাদের কাঙ্খিত ভাড়া সমন্বয় করা হয়নি। তাই তাদের দাবি- হয় ভাড়া বাড়ানো হোক, নতুবা তেলের দাম কমানো হোক। এই দুটোর একটা না করা হলে রাস্তায় পরিবহন নামাবেন না তারা।
ট্রাক ড্রাইভার মো. খোকন, অন্তর, সুজনসহ আরো অনেকে জানান, সরকারের পক্ষ থেকে হঠাৎ করে এভাবে তেলের দাম বৃদ্ধি করা ঠিক হয়নি, আমরা গত তিনদিন ধরে কাজ না থাকায় বসে আছি, ফলে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিনপাত করছি, তাই সরকারের কাছে দাবি হয় তেলের দাম কমানো হোক নতুবা ভাড়া বাড়ানো হোক।
সার সরবরাহকারী (ট্রান্সপোর্টার) কামরুল হাসান ও রফিকুল ইসলাম এবং তারাকান্দি শ্রমিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. মতিয়র রহমান জানান, গত তিনদিন ধরে দেশের প্রায় ২৩ জেলায় সার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে চলতি মৌসুমে সার সংকট দেখা দিতে পারে, তাই যত দ্রুত সম্ভব সরকারের পক্ষ থেকে একটি সমাধান আশা করছি।
জামালপুর জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলড়ী মালিক সমিতির তারাকান্দি আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল আলম মানিক মুঠোফোনে বলেন, এখনও ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়নি। সারাবাংলাদেশ যা করবে আমরাও তাই করবো, এটা আমার একার ধর্মঘট না।
সময় জার্নাল/এলআর