বন্ধ্যা সময়, কাটেনা দগ্ধ প্রহর
শীতরাতে চাঁদের রূপোলী আগুন,
হুইসেলে ভাঙ্গে মায়াবী ঘুমঘোর
পরের স্টেশনে তৃষিত তুমুল ফাগুন।
জানালার শার্সিতে বিবস্ত্র আলো
নিদ্রাহীন বনানীর দীর্ঘনি:শ্বাস,
নিসর্গের বারান্দায় দীপশিখা জ্বেলো
নির্জন পথিকের প্রবল আশ্বাস।
বুকের বাঁ পাশে নেবু পাতা ঘ্রান
সৌরবর্ষ পরের এই বেদুঈন গাঁ,
করেছি অমৃত স্নিগ্ধ গোলাপ স্নান
দূরন্ত ঘোড়ায় উন্মত্ত ঘরে ফেরা!
কাজকে বললাম ছুটি নাও আজ ই
ফিরে যাব ছন্দের যুঁইফুল তল্লাটে,
যার সাথে হাসি আর যার সাথে বাঁচি
পা ডুবিয়ে সে যে দ্রাক্ষার খেয়াঘাটে!
পাহাড় পেরিয়ে পাহাড়ী নদীর সাথে
জলছায়া, বনছায়া, স্মৃতিছায়া ভাসে
প্রখর জ্যোৎস্নায়, এসেছি খালি হাতে
ঝর্ণার মৃনাল গ্রীবায় অরণ্যের উচ্ছ্বাসে-
ক্ষনিক আমি, মিলাও অক্ষয়ের মাঝে
হে অনিদ্র! পুড়ে যায় নস্বর চরাচর-
অন্তিম আলোর অমল ধবল সাঁঝে
স্মৃষ্টি আভায় গলে যায় মরিচিকা ঘর!
অবশেষে দেখা দিলো সে
দিন রাত্রির ব্যবধানে
এক অন্তরীণ বসন্ত বাতাসে!
সময় জার্নাল/ইম