স্পোর্টস ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেললেন ক্রিস গেইল কিনা, এমনটাই মনে করেছিলেন বাইশ গজের বহু ক্রিকেট পণ্ডিত। তাদের ধারণা হয়েছিল যে, ডোয়েন ব্র্যাভোর সঙ্গে গেইলও সম্ভবত দেশের জার্সিটা তুলে রাখলেন ক্রিকেটের শোপিস ইভেন্টে শেষ ম্যাচ খেলে। কিন্তু গেইল অবসর নিচ্ছেন না। বড় আপডেট দিয়ে নিজের মনোবাসনা জানিয়ে দিলেন 'টি-২০ ক্রিকেটের ডন ব্র্যাডম্যান।'
ব্র্যাভো যদিও আগেই জানিয়ে ছিলেন যে, তিনি অবসর নিচ্ছেন। কিন্তু গেইল তার অবসরের ব্যাপারে একটি বাক্যও ব্যয় করেননি। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্যাট কামিন্সের বলে ক্লিন বোল্ড হওয়ার পর গেইল রীতিমতো নাচতে নাচতে ডাগআউটে ফিরে ছিলেন। সতীর্থরা তাকে জড়িয়ে ধরেন। হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান। এমনকি গেইলও ফ্যানেদের মধ্যে বিতরণ করে দেন তার গ্লাভস। গেইলের এহেনও আচরণেই সাবেকরা ইঙ্গিত পেয়েছিলেন তার অবসরের।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর গেইল বলেন, ‘দেখুন আমি জীবনের শেষ বিশ্বকাপটা উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। খুব হতাশাজনক একটা বিশ্বকাপ গেল আমার। ব্যক্তিগত ভাবে বললে সবচেয়ে খারাপ বিশ্বকাপ এটাই। তবে এমনটা ঘটতেই থাকে। ভেবে খারাপ লাগছে যে, ক্যারিয়ার আমার শেষের দিকে। কিন্তু আগেও বলেছি, আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে অনেক ট্যালেন্ট আছে। যারা এগিয়ে আসছে। তবে একজন কিংবদন্তি আমাদের ছেড়ে গেল। ডিজে ব্র্যাভোকে আর পাব না দলে। আমি একটু মজা করার চেষ্টা করছিলাম। দর্শকের সঙ্গে কথা বলে পরিবেশটা বুঝলাম। আর হ্যাঁ, আমি কিন্তু এখনও অবসরের সিদ্ধান্ত নিইনি। যদি আমাকে জামাইকাতে ঘরের মাঠে ঘরের দর্শকের সামনে শেষ ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে বলতে পারব, অনেক ধন্যবাদ। আরও একটা বিশ্বকাপ খেলতে চাই। তবে মনে হয় না আমাকে দেওয়া হবে সেই সুযোগ। দেখা যাক কী হয়। ব্র্যাভোর দলে কবে নাম লেখাব, জানিয়ে দেব সেটা।’
গেইল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমেছিলেন এভিন লুইসের সঙ্গে। ৯ বলে ১৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি। ১৪ মিনিট ক্রিজে থেকে জোড়া ছক্কা হাঁকান গেইল। ১৬৬.৬৬-এর স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন ক্যারিবিয়ান মহাতারকা। গেইল বল হাতে উইকেটও পান। মিচেল মার্শকে আউট করেন তিনি। মার্শকে আউট করে তাঁর কাঁধে উঠে তাঁর সঙ্গেই মাঠেই সেলিব্রেশন করতে দেখা যায় তাকে।
এমআই