গোলাম আজম খান, কক্সবাজার: এবার টেকনাফে জাহাজপুরা উপকূলে স্থানীয় এক জেলের টানা জালে ৯০টি লাল কোরাল মাছ আটকা পড়েছে। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকালে জাহাজপুরা সৈকত উপকূলে টানা জাল থেকে মাছগুলো উদ্ধার করে খুলে আনলে উৎসুক জনতা ভিড় জমান।
স্থানীয় মোঃহারুন বলেন,মঙ্গলবার ভোরে জাহাজপুরা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মালিকানাধীন টানা জাল ও নৌকা নিয়ে জাহাজপুরা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরতে যান আবদুল করিম মাঝির নেতৃত্বে১৫জন জেলে। ঘণ্টা সময় ধরে জাল ফেলার এক পর্যায়ে জাল ভারী হয়ে ওঠে।পরে জাল তুলে দেখা যায় ৯০টি লাল কোরাল আটকা পড়েছে।স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মাছগুলো তিন লাখ টাকায় ক্রয় করেন।
ওই টানা জালের জেলে শহীদুল্লাহ বলেন,মাছগুলো ঘাটে তোলার পর তিন লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল আমিন মাছগুলো ক্রয় করেন।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন বলেন, এক জেলের জালে ৯০টি লাল কোরাল ধরা পড়েছে।পরে মাছগুলো তিন লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, জাহাজপুরা সৈকতে এক জেলের টানা জালে৯০টি লাল কোরাল আটকা পড়ার খবর শুনেছি। সুস্বাদু কোরাল কিংবা ভেটকি মাছের কদর দেশব্যাপী। বঙ্গোপসাগরের গভীর জলের মাছ কোরাল সব সময় হাটবাজারে পাওয়া যায় না। এ জন্য এই মাছের দাম কিছুটা বেশি। মাছটি সাধারণত ১ থেকে ৯ কেজি পর্যন্ত ওজন হতে পারে। মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Lates calcarifer। এই মাছ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চল, বিশেষত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেখা যায়। তা ছাড়া এশিয়ার উত্তরাঞ্চল, কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল এবং পূর্ব আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলেও এদের দেখা যায়।
উল্লেখ্য,এক সপ্তাহ আগে,সেন্টমার্টিনে এক জালের টানা জালে ধরা পড়ছিল ২০৪টি লাল কোরাল।ছয় লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল মাছগুলো।
সময় জার্নাল/আরইউ