সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
ডিবিএল ফার্মার অবকাঠামো, বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জামের সমন্বয়কে চমকপ্রদ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মানসম্পন্ন ওষুধ সহজলভ্য করতে ডিবিএল ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। রোববার ডিবিএল গ্রুপের নতুন সংযোজন ডিবিএল ফার্মার কারখানা উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রায় ৭শ কোটি টাকার বিনিয়োগে গাজীপুরের কাশিমপুরে ইউএস এফডিএ ও ডব্লিউএইচও জিএমপি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী কারখানা স্থাপন করেছে ডিবিএল ফার্মা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. হাবিব-ই-মিল্লাত এমপি, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. আবুল বাশার মো. খুরশিদ আলম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এস. এম আব্দুর রহমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার, ভাইস-চেয়ারম্যান এম এ রহিম ও উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ কাদের।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টেকসই উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষই ডিবিএল গ্রুপের মূলমন্ত্র। ওষুধ শিল্পে ডিবিএলের এই নতুন যাত্রায়ও সেই একই মূলমন্ত্রের প্রতিফলন থাকছে। বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদনের মাধ্যমে কেবল দেশবাসীর জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই নয়, পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোতে ওষুধ রপ্তানির মাধ্যমে বিশ্বের ব্যাংক বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে ডিবিএল ফার্মা বদ্ধ পরিকর।
প্রায় ১২ একর জমির ওপর নির্মিত ২ বিলিয়ন ইউনিট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ডিবিএলের প্রকল্পটিতে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ, ইনজেকশন, ইনহেলারসহ প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদনের লক্ষে অত্যাধুনিক ইউরোপীয় সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডিবিএল গ্রুপের আরেক সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালস ইনক ইতোমধ্যেই কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মাধ্যমে সাফল্যের সঙ্গে ২টি জেনেরিক ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে বাজারজাত করছে। অদূর ভবিষ্যতে কাশিমপুরে নতুন স্থাপিত উৎপাদন কারখানাটি থেকেই সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ওষুধ রপ্তানি করার বিষয়ে ডিবিএল ফার্মা আশাবাদী।