সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
কর্মস্থল থেকে বিদায়কালে সহকর্মীদের আন্তরিক ভালবাসায় সিক্ত হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তাঁর অবদান জাতি আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে বলে বিশ্বাস করেন তাঁর সহকর্মীরা।বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ছিল সরকারি চাকুরীজীবনে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সর্বশেষ কর্মদিবস। এ উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে আয়োজন করা হয়েছিল বিদায়ী সংবর্ধনার। সেখানেই তাঁর সম্পর্কে এমন মন্তব্য শোনা যায়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। ভার্চুয়ালি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. লোকমান হোসেন মিয়া।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী স্যাব্রিনা ফ্লোরা।
অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সদ্য বিদায়ী অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার বর্ণিল কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করেন।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা সম্পর্কে বক্তারা আরও বলেন, দেশের ক্রান্তিকালীন সময়ে দেশকে সেবা দেয়া ভাগ্যের ব্যাপার। জাতির সেসব সূর্যসন্তানকে আমরা আজীবন স্মরণ করি।
একদিন আমাদের পৃথিবীতে কোভিড-১৯ থাকবেনা। কীভাবে আমরা কোভিড-১৯ অতিমারির বিরুদ্ধে লড়েছিলাম আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সে গল্প করতে গিয়ে আমরা স্মরণ করবো কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ নিয়ে তৈরি হওয়া দ্বিধা-সংশয় এর কথা।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা দেশের ৫ জন নাগরিকের একজন যিনি নিজের শরীরে প্রথমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন যাতে জনগণ ভ্যাকসিন গ্রহণে উৎসাহিত হয়।
এমন এক সময়ে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) পদে দায়িত্ব পালন করেছেন যখন কোভিড-১৯ অতিমারিতে পুরো পৃথিবী পর্যুদস্ত।
মাঝে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিদায়ী মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ অসুস্থ হলে তিনি কিছুদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।
উল্লেখ্য, দশম বিসিএস এর স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেল কলেজে বায়োকেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টে অধ্যাপনা করেন। ২০১৮ সালে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) পদে যোগ দেন।
বিরতিহীনভাবে একটানা ৩৬৫ দিনের বেশি অফিস করবার পর উপসর্গসহ করোনায় আক্রান্ত হলাম। মহান আল্লাহ এই মহামারি থেকে মানবজাতিকে, বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করুন।" - কোভিড-১৯ যখন তুঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার এই ফেসবুক স্ট্যাটাস নাড়া দিয়েছিল দেশের কোটি মানুষকে।
সময় জার্নাল/ইএইচ