নিজস্ব প্রতিবেদক: দিনব্যাপী নানা আয়োজন ও কৈশোরের স্মৃতিচারণে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কুমিল্লা জিলা স্কুলের এসএসসি—৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসব। অনির্বাণ আলোকশিখা ছড়িয়ে যাওয়া এই বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় ছিল আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৯ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা বন্ধুরা বর্তমানে নানা পেশায় কর্মরত দেশের বিভিন্ন স্থানে। পুনর্মিলনীর এই উৎসবে বন্ধুদের সঙ্গে যোগ দিতে এ দিন সকাল ৮ টা থেকে স্কুল প্রাঙ্গণে আসা শুরু হয়।
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে কৈশোরের পরিচিত মুখগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়ে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে একটি র্যালি শুরু করা হয় সকাল ৯টায়। বন্ধুদের হাতে হাত রেখে শুরু হওয়া র্যালিটি শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে ফিরে আসে স্কুল প্রাঙ্গণেই৷ ব্যস্ত কর্মজীবনের সকল ক্লান্তি ভুলে কৈশোরের বন্ধুদের সঙ্গে নতুন করে কাটানো সময় ক্যামেরাবন্দী করে রাখতে সবাই ছিলেন ব্যস্ত। স্কুল জীবনের গন্ডি পার হওয়ার পরে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুত্বের এক একটা পরিচ্ছেদকে আরেকবার ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় ও স্মৃতিচারণে কাটে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব।
সকাল ১১ টায় পুনর্মিলনী অনুষ্টানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করা হয়। স্কুলের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকদের উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে এই পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। । এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার। ১৯৯৯ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এই পর্বে।
স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তুষার রাজীব ও সৈকত ভৌমিকের সঞ্চালনায় কেক কেটে শুরু করা হয় আলোচনা সভা। এ সময় স্কুলের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারি প্রধান শিক্ষক আবদুল হাফিজ, মোসলেহ উদ্দিন, খগেন্দ্র বাবু, ওয়াহাব তাজুল ইসলাম, রিক্তা বড়ুয়াসহ অন্যান্যরা।
পুরনো দিনের স্মৃতিচারণসহ শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন শিক্ষকরা৷ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন শরিফ মাহবুব।
দিনের শেষভাগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় আয়োজকদের। একই সঙ্গে যারা এবার নানা কারণে উপস্থিত থাকতে পারেনি তাদের সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী পুনর্মিলনী উৎসব আয়োজন করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এমআই