এহসান রানা , ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক বলেছেন, যতোদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন ততোদিন পথ হারাবেনা বাংলাদেশ। এখন নারী জাগরণের দেশ আমাদের। আর এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা লীগ।
ফরিদপুর জেলা মহিলা লীগের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে শহরের চর কমলাপুরের সেরিনা গার্ডেনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদা বেগম একথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মান্নান। সভা সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আনার কলি পুতুল।
মাহমুদা বেগম কৃক বলেন, ফরিদপুর থেকে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সালেহা মোশাররফের মতো নারী নেত্রী সংসদ সদস্য হয়েছেন। আমি চাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই ফরিদপুর থেকে সরাসরি প্রার্থী হয়ে অংশ নিক।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল হক ও পৌর মেয়র অমিতাভ বোস এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সস্পাদক সেলিনা আক্তার ফাতেমা, কোষাধ্যক্ষ রাহেলা পারভিন, সদস্য মেহজাবিন আলী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ফরিদপুরের প্রয়াত রাজনীতিবিদ এসএম নুরুন্নবীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, জেলা মহিলা লীগের সাবেক সদস্য সচিব আইভি মাসুদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, মধুখালি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া সালাম, জেলা পরিষদের সদস্য আনজুমান আরা বেগম প্রমুখ।
বক্তাগণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফরিদপুরের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলার রাখাল রাজা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ফরিদপুরের সন্তান বৃহত্তর অর্থে।
সভায় জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আগ্রহী প্রায় অর্ধশত নারী নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শোনেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তাগণ তাদের পরিচিত তুলে ধরেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ ও অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, আওয়ামী পরিবারের দুঃসময়ে মহিলা লীগের মা-বোনেরা ভুমিকা রেখেছেন।
বক্তাগণ যোগ্যদের নেতৃত্বে আনার দাবি করে বলেন, আওয়ামী লীগে এখন লোকের অভাব হবেনা। কিন্তু দুঃসময়ে তাদের খুুজে পাওয়া যাবেনা। যারা আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে দলের জন্য শ্রম দিয়েছেন তাদেরই দলে অংশ নেয়া উচিত।
সময় জার্নাল/এলআর