গোলাম আজম খান, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
এমন সুন্দর একটি ফুটফুটে বাচ্চা দেখে সবার মন জুড়িয়ে যায়। চাঁদের হাঁসি ফুটেছে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাংসদ শাহীন আক্তার চৌধুরী ও তাঁর স্বামী সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি দম্পতির কোল জুড়ে। পাগলি কোলে জন্ম নেয়া পিতৃত্বের পরিচয় হীন এক কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতে দায়িত্ব নিয়ে এমন মহানুভবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখালেন বদির দম্পতি।
১৪ নভেম্বর রবিবার সাবেক সাংসদ বদিসহ সাংসদ স্ত্রী শাহিন আকতারের নিজ ফেসবুকে ফুটফুটে অসহায় শিশুটিকে কোলে নিয়ে ছবি আপলোড করেন। ফুটফুটে অসহায় শিশুটিকে কেউ বাবার স্বীকৃতি না দিলেও সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি ও বর্তমান সাংসদ শাহিন আক্তার বাবা এবং মায়ের স্বীকৃতি দান করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তারা। এতে করে নিষ্পাপ কন্যা শিশুটি যোগ্য পিতা- মাতা পেলেন বলে মন্তব্য করেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
বদি-শাহিনের (পিতা-মাতা) পরম আদরে মরিয়ম জারা একদিন আলোকিত মানবিক নারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন এমন প্রত্যাশা তাদের।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত ২৪ অক্টোবর শনিবার রাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর প্রসববেদনা দেখে এলাকার চৌকিদার শহিদ উল্লাহ টেকনাফ থানায় খবর দেন। মানসিক রোগীদের নিয়ে কাজ করা মারোতের সহযোগিতায় টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় ওই নারীকে। রাতেই সেখানে সন্তান প্রসব করান চিকিৎসক ও নার্সরা। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সাংসদ দম্পতি পাগলির কন্যা শিশুকে নিজেদের মেয়ে হিসেবে দত্তক নিয়ে বিরল এই ঘটনার জন্ম দিলেন।
ইতিমধ্যে সাবেক এমপি বদিকে পিতা এবং বর্তমান সাংসদ শাহিন আক্তারকে মাতা উল্লেখ করে টেকনাফ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের নাগরিক হিসেবে দত্তক নেয়া শিশুটির জন্ম নিবন্ধন সম্পাদন করা হয়েছে। শিশুর নাম রাখা হয়েছে মরিয়ম জারা।
সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি বলেন, ‘আমার সংসারে এর আগে দুজন ছেলে–মেয়ে আছে। এই নবজাতক কন্যাসহ বর্তমানে তিনজন। এক ছেলে, দুই মেয়ের মা–বাবা হলাম আমরা। ওই শিশুর নাম রাখা হয়েছে মরিয়ম জারা। টেকনাফ পৌরসভা থেকে জন্মনিবন্ধন ফরম পূরণ করা হয়েছে।’
সময় জার্নাল/এলআর