নিজস্ব প্রতিবেদক। ‘ইন দ্য সার্চ অব লস্ট টিউন’ শীর্ষক ফটো-স্টোরির জন্য ‘ফটোফি বর্ষসেরা আলোকচিত্রী পুরস্কার’ পেলেন তরুণ আলোচিত্রী রিয়াদ আবেদীন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে ‘ফটোফি ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারটি দশম বর্ষে পা রাখলো।
বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের মানুষকে নিজের শিকড় ছেড়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাড়ি জমাতে হয়। কিন্তু শিকড়ের কাছে ফেরার আকুতি মনে রয়েই যায়—এই আকুতিকেই ফটো-স্টোরিতে তুলে ধরেছেন এই তরুণ আলোকচিত্রী। একই কাজের জন্য গতবছর তিনি ‘সনি স্টুডেন্ট গ্রান্ট’ অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশের একমাত্র ফাইন-আর্ট ফটোগ্রাফিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘ফটোফি একাডেমি অব ফাইন-আর্ট ফটোগ্রাফি’ ২০১১ সাল থেকে দেশের একজন প্রতিশ্রুতিশীল আলোকচিত্রীকে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। এবছর পুরস্কারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল থ্রিসিক্সটি বিনোদন নামে একটি নিউজ পোর্টাল।
রাজধানীর দিলু রোডের ফটোফির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার শফিকুল আলম কিরণ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আলোকচিত্রী জয় কে রায় চৌধুরী, ফটোফির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। শফিকুল আলম কিরণ বলেন, ‘আমরা একজন আরেকজনকে সম্মান করা প্রায় ভুলেই গেছি, শুধু নিজের কথা চিন্তা করি, সেখানে ফটোফি যে দেশের আলোকচিত্রীদের সম্মানিত করছে তা প্রশংসনীয়।’
ফটোফি একাডেমি অব ফাইন-আর্ট ফটোগ্রাফির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ গর্বের বিষয়, অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে আমরা পুরস্কারটিকে দশম বর্ষে নিয়ে আসতে পেরেছি। ফটোফির লক্ষ্য, নান্দনিক আলোকচিত্রচর্চার প্রসার আরো বাড়ানো।’
বিজয়ী আলোকচিত্রী রিয়াদের জন্ম ১৯৯৩ সালে। এর আগে তিনি ইয়ান পেরি স্কলারশিপে ফাইনালিস্ট হয়েছিলেন। তার ছবি নিউইয়র্কে প্রদর্শিত হয়েছে। ফটোফি বর্ষসেরা আলোকচিত্রী পুরস্কার হিসেবে রিয়াদ পেয়েছেন ২০ হাজার টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট।
এর আগে এ পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে আলোকচিত্রী এসএ শাহরিয়ার রিপন (২০১১), কামরুজ্জামান (২০১২), মুনেম ওয়াসিফ (২০১৩), প্রীত রেজা (২০১৪), কেএম আসাদ (২০১৫), জয় কে রায় চৌধুরী (২০১৬), সুমন ইউসুফ (২০১৭), ফরিদা আলম (২০১৮) এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ (২০১৯)।
সময় জার্নাল/আরইউ