আন্তর্জাতিক ডেস্ক। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম দেড় মাস ধরে বাড়ছিল। এতে উৎপাদনকারীরা বিপুল মুনাফা করলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল ভোক্তারা। এটা নিয়ে সৃষ্ট অস্থিরতার পর অবশেষে বিশ্ববাজারে কমল জ্বালানি তেলের দাম।
এ দাম কমার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে। খবর সিএনএন অনলাইনের।
বর্তমানে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ও ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দর গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম। জ্বালানি তেলের দর ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারের নিচে নেমে গেছে।
জ্বালানিবিষয়ক পরামর্শ প্রতিষ্ঠান রিস্ট্যাড এনার্জির তেল বাজারপ্রধান বিজোরনার টনহাউজেন বলেন, এখন জ্বালানি তেলের দাম কমার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এই দুই দেশের সংরক্ষিত (রিজার্ভ) তেল বাজারে ছেড়ে দেওয়ায় দাম কমেছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী মাসে ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল আসার ব্যাপারে আশাবাদী বিনিয়োগকারীরা। এটা যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে কিংবা আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার বৃহত্তর সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে আসতে পারে। তবে রিজার্ভ থেকে তেল ছাড়ের বিষয়টি দীর্ঘ সময়ের ক্ষেত্রে সামগ্রিক চিত্র পরিবর্তন করবে না বলে মনে করেন বিজোরনার।
হোয়াইট হাউস সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বৈশ্বিক জ্বালানি তেল সরবরাহের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর সমন্বিত পদক্ষেপে লাখো ব্যারেল তেল বাজারে আসে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, সংরক্ষিত তেল বাজারে ছাড়ার বিষয়ে চীন যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার কিছু লক্ষণ বৃহস্পতিবারই দেখা যায়।
সময় জার্নাল/আরইউ