ক্রীড়া ডেস্ক : পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও অল্প পুঁজি গড়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে আবারও ব্যর্থ হয়েছেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সাইফ হাসান। তবে মাঝ পথে দলকে আশার আলো দেখান নাজমুল হোসেন শান্ত। এ ছাড়া কেউই তেমন সুবিধা করতে পারেনি। আরো একবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবলো টাইগাররা। তাতেই দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়লো মাহমদুউল্লাহর দল।
শনিবার হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে সাত উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান তোলে বাংলাদেশ। এর আগে পাকিস্তানের মাটিতে ১০১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ডটি বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। ব্যাট হাতে ৩৪ বলে ৪০ রান তোলেন শান্ত। বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন শাদাব খান ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।
টসে জিতে ব্যাট করতে আসেন ওপেনার নাঈম শেখ ও সাইফ হাসান। তবে সেই চিরচেনা রূপ রয়ে গেল। ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে গেল সাইফ। ইনিংসের পঞ্চম বলে গোল্ডেন ডাকে এই ওপেনারকে ফেরান শাহীন শাহ আফ্রিদি। ওপর ওপেনার নাঈম শেখও মাত্র ৮ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
শুরুতে দুই ওপেনারকে হারানোর পর তিনে আসা নাজমুল হোসেন শান্তের সঙ্গে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন আফিফ হোসেন ধ্রুব। এই যুগলের ব্যাটে শুরুর চাপ কাটিয়ে উঠে টাইগাররা। কিন্তু আফিফের উইকেট বিলিয়ে দেওয়াতে ৪৬ রানের এই জুটি থামান শাদাব খান। এই লেগ স্পিনার বল করার আগে রিভার্স সুইপের পজিশনে চলে যান আফিফ। কিন্তু বলটি একটু টেনে ডেলিভারি দেন শাদাব। তাতেই বল আফিফের ব্যাট ছুঁয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দি হয়।
এক পাশ আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন শান্ত। বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন শট খেলেন তিনি। তাকে কিছু সময় সঙ্গ দেওয়া অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ফেরেন নিজের ভুলে। হারিস রউফের বল তার ব্যাটের কানায় লেগে রিজওয়ানের গ্লাভসে জমা পড়ে। তাতেই ১৩ বলে ১২ করে প্যালিভিয়নে ফেরেন টাইগার কাপ্তান।
দলীয় ৮২ রানের মাথায় থিতু ব্যাটসম্যান শান্তকে সাজঘরে ফেরান শাদাব খান। ৩৪ বলে পাঁচ চারে ৪০ রান করে কট অ্যান্ড বোল্ড হন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি আগের দিন দলকে এগিয়ে নেওয়া শেখ মেহেদী। ৮ বলে মাত্র তিন রান করে মোহাম্মদ নাওয়াজের শিকার হন তিনি।
শেষের দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে বাংলাদেশের। তাতে রানের গতি অনেকখানি থমকে যায়। নুরুল হাসান সোহানও ফেরেন মাত্র ১১ রান করে।
সময় জার্নাল/এসএ