রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলা শাখা ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান জয় এবং সাারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ‘শ্ঙ্খৃলা পরিপন্থি কার্যকলাপের অভিযোগের ভিত্তিতে’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঐ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে কেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১১ অক্টোবর রাতে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশ নিতে আসা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিকের সামনে শ্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নাজুসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আহত হন। এরই প্রেক্ষিতে জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা ছাত্রলীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে ছাত্রলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি রাজু আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার বাবা অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সংগঠনের জেলা শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কমিটি ঘোষণার পর থেকেই আমাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার চলছিল। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার। আশা করি আমরা এই দু:সময় অতিক্রম করবো এবং সত্যের জয় নিয়ে দায়িত্ব ফিরে পাবো।
সময় জার্নাল/এলআর