কুমিল্লা প্রতিনিধি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে (৫২) নিজ কার্যালয়ে ঢুকে সহযোগীসহ গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় শহরের সুজানগর বৌবাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে এজহার নামীয় ১১ জনসহ মোট ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনয়ারুল আজিম।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নবগ্রামের শাহ আলমের ছেলে সোহেল ওরফে জেল সোহেল, সুজানগর পানির টাংকি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রফিক মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির হোসেন, সুজানগর পূর্ব পাড়া বৌ বাজারের মৃত কানু মিয়ার ছেলে সুমন, সংরাইশ এলাকার (রহিম ডাক্তারের গলি) কাকন মিয়া ওরফে চোরা কাকনের ছেলে সাজন, তেলীকোনা প্রাইমারি স্কুলের পূর্ব পাশের (মনির মিয়ার বাড়ি) আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান রকি, সুজানগর পূর্বপাড়া বৌবাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ারর ছেলে আলম, সুজানগর পূর্ব পাড়ার নূর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, সংরাইশ (বেকারি গলি) এলাকার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে মাসুম, নবগ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে সায়মন ও সুজানগর বৌ বাজার এলাকার কানাই মিয়ার ছেলে রনি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোহেলকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এসব সন্ত্রাসীরা বহু মামলার আসামি।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। এসময় গুলিতে কাউন্সিলরের সহযোগী হরিপদ সাহাও নিহত হন। মঙ্গলবার জানাযা শেষে সোহেলের মরদেহ পাথুরিয়াপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও পাঁচ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।
সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন। ২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র হন। তিনি সুজানগর এলাকার সৈয়দ মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
বুধবার সকালে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনয়ারুল আজিম বলেন, সহযোগীসহ কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে।
সময় জার্নাল/আরইউ