সময় জার্নাল প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ রোববার। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক আবু জাফর কামরুজ্জামান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার আশা করেছেন আবরারের বাবা মামলার বাদী বরকত উল্লাহ। ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁঞা জানান, মামলায় ৪৬ জন সাক্ষ্য দিয়ে মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। ২৫ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। অন্যদিকে আদালতে যে আদেশেই আসুক, উচ্চ আদালত থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো।
মামলার আসামিরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী শাসছুল আরেফিন রাফাত, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষে ছাত্র আকাশ হোসেন, শিক্ষার্থী মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, হোসেন মোহাম্মাদ তোহা, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এসএম মাহমুদ সেতু, বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মুহাম্মাদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র মুজতবা রাফিদ। যাদের মধ্যে প্রথম আট জন আদালতে স্বীকারোক্তি করেছেন। শেষের তিনজন পলাতক। আর প্রথম ২২ জন কারাগারে রয়েছেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিচারক ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ২২ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেন এবং পলাতক তিন আসামিসহ ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছর ৪ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওই সময়ের মধ্যে মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল ৪৬ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
সময় জার্নাল/এসএ