স্পোর্টস ডেস্ক: একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেও শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় দিয়ে স্বাধীনতা কাপে শুভসূচনা করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে প্রতিযোগিতাটির ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত মোহামেডান। কিন্তু রাকিব খান ইভানের থ্রু পাস ধরে অনিক হোসেন দূর্বল শটে বল তুলে দেন গোলরক্ষক মামুন হোসেনের হাতে। সপ্তদশ মিনিটে কর্নারের পর বল পেয়ে যান বক্সে ফাঁকায় থাকা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের শাকিল কিশোর। বল জালে পাঠানোর জন্য স্রেফ একটা টোকার দরকার ছিল; কিন্তু পারেননি এই মিডফিল্ডার।
বাঁ দিক দিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণে ওঠা অনিক অষ্টাদশ মিনিটে বক্সে ঢুকে আবারও বাঁ পায়ের শটে বল তুলে দেন মামুনের গ্লাভসে। ২৬তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আক্রমণে ওঠেন সাহেদ মিয়া। এই মিডফিল্ডারের কাট ব্যাকে পোস্টের সামনে থেকেও পা ছোঁয়াতে পারেননি তরুণ ফরোয়ার্ড আমির হাকিম বাপ্পী। আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় মোহামেডানের।
জাফর ইকবাল ও সুলেমানে দিয়াবাতের মিলিত প্রচেষ্টায় ৩৬তম মিনিটে গোলের অপেক্ষা ফুরায় মোহামেডানের। জাফরের ক্রস ধরে আক্রমণে ওঠা দিয়াবাতেকে আটকানোর চেষ্টা করেও পারেননি ডিফেন্ডার তারেক মিয়া। বক্সের ভেতর ডান পায়ের প্লেসিং শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান মালির এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান দ্বিগুণের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় মোহামেডানের। বাঁ দিক থেকে জাফরের ক্রুসে দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা শাহেদ পা ছোঁয়াতে পারেনি। অবশ্য এই হতাশা স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। ৪৯তম মিনিটে বাপ্পীর ছোট পাস ধরে দিয়াবাতে বাড়ান ফাঁকায় থাকা শাহেদকে। দারুণ কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই মিডফিল্ডার।
৬০তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে মোহামেডানের জাফরের শট পোস্টে লেগে ফিরে। ছয় মিনিট পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জাপানি মিডফিল্ডার সোমা ওতানজের ফ্রি কিক অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।
৭০তম মিনিটে ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা ওতানজ দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে গোলরক্ষকের গায়ে মেরে বসেন। তবে বল উঠে যায় উপরে, হেডেই ব্যবধান কমান গোলমুখে থাকা তার স্বদেশি মিসাওয়া।
৮২তম মিনিটে বক্সে মোহামেডানের রাজীব হোসেনের হাতে বল লাগলেও জোরাল আবেদন করেনি মুক্তিযোদ্ধা। তাদের একজন খেলোয়াড়কে কেবল দেখা যায় ইশারায় হ্যান্ডবল বোঝাতে। রেফারি জালাল উদ্দিনও সাড়া দেননি।
এমআই