আন্তর্জাতিক ডেস্ক। বিশ্ব জুড়ে আবারও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, এই ভ্যারিয়েন্ট উচ্চ পর্যায়ের বৈশ্বিক ঝুঁকি তৈরি করেছে। দ্রুত আন্তর্জাতিকভাবে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং কিছু এলাকায় এর প্রভাব অনেক বেশি ভয়ানক হতে পারে। এ অবস্থায় সংস্থাটি ১৯৪টি সদস্য দেশকে টিকাদানে গতি আনার এবং আক্রান্ত বাড়বে এমনটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে। গতকালই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন দিনের বিশেষ অধিবেশন শুরু করেছে ডব্লিউএইচও। এখন পর্যন্ত ওমিক্রন সংশ্লিষ্ট কোনো মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মহামারি বিশেষজ্ঞ সেলিম আব্দুল করিম বলেছেন, এখন পর্যন্ত এটি স্পষ্ট যে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রমক এবং দ্রুত ছড়াচ্ছে।
এদিকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৩ দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই সাম্প্রতিক কালে দক্ষিণ আফ্রিকা বা অন্য কোনো আফ্রিকার দেশে গিয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। গতকালই স্কটল্যান্ডে ৬ জনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। ৪৪টি দেশ এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। জাপান ও ইসরাইল বিদেশি ভ্রমণকারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের অধিক সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মডার্না জানিয়েছে, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে কোভিডের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের টিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মডার্নার চিফ মেডিক্যাল অফিসার পল বার্টন বলেছেন, বিদ্যমান টিকাগুলো কোভিডের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলা করতে না পারলে তার উপায় বের করবে মর্ডার্না। যদি পরিস্থিতি জটিল রূপ ধারণ করে তাহলে আগামী বছরের শুরুতেই নতুন ধরনের ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হবে। নতুন টিকা আনার আগে বর্তমান টিকাগুলো ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর সেটিও জানা প্রয়োজন। তার মতে, নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ভয়ানক। তবে মোকাবিলায় অনেক অস্ত্রও রয়েছে।
সময় জার্নাল/আরইউ