আন্তর্জাতিক ডেস্ক। দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস ইতোমধ্যে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো সৌদি আরব। এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাতে আল আরাবিয়া জানায়, আফ্রিকান এক নাগরিকের দেহে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরাও আছেন আইসোলেশনে।
ওমিক্রন আবিষ্কারের পরপরই মালাউই, জাম্বিয়া, মাদাগাস্কার, এঙ্গোলা, সিচেলাস, মরিশাস ও কমোরোসের সঙ্গে সবরকম ফ্লাইট স্থগিত করেছে সৌদি আরব। সেইসঙ্গে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে আগত সবাইকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখছে কর্তৃপক্ষ বলে জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি।
সারা পৃথিবীতে এখন করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এক তথ্য প্রমাণে দেখা গিয়েছে যে ওমিক্রনে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি রয়েছে। অর্থাৎ যারা আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সাধারণত দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হবার দৃষ্টান্ত কম হলেও ওমিক্রনের ক্ষেত্রে পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি অন্তত ৩২টি মিউটেশন (জিনগত গঠনের পরিবর্তন) ঘটিয়েছে। যার বৈজ্ঞানিক নাম বি.১.১.৫২৯। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে মিউটেশন ছিল ১০টি আর বেটায় ৬টি। আর ওমিক্রনের 'ইউনিক' মিউটেশনের সংখ্যা এর অনেক বেশি। মোট ২৬টি। এতেই বোঝা যায় একে মোকাবিলা করা কত কঠিন হতে পারে।
ওমিক্রন নিয়ে বিজ্ঞানীরা যে কারণে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন তা হলো, এটি অত্যন্ত দ্রুত এবং সহজে ছড়াতে পারে এবং মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারে। যার ফলে এর বিরুদ্ধে টিকা কম কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে ।
ওমিক্রন কতটা সংক্রামক বা এর তীব্রতা কি সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত করেছেন। এরপর অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স ও কানাডা, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। নতুন করে এই তালিকায় যুক্ত হলো সৌদি আরব।
সময় জার্নাল/আরইউ