জন্মদিন
আচ্ছা মা গো কেকটা কাটার খুব কি প্রয়োজন?
জন্মদিনে মিছেই তুমি করছো আয়োজন।
আমার তো বেশ একই লাগে সোম, বুধ বা রবি,
সূর্য ওঠে, সূর্য ডোবে একই রকম ছবি।
রোজ যেভাবে দিন শুরু হয় ভোরের আযান শুনে,
খেয়ে, নেয়ে, ইস্কুলে যাই সময় গুনে গুনে।
একটা সেকেন্ড বাড়েনা মা ছুটির ঘন্টা হতে,
সময় আমায় দেয়না সময়, চলে নিজের স্রোতে।
ঈদের আছে ঈদের নামাজ, রোজায় খুশির ধুম,
জন্মদিনে দুঃখ, ব্যাথা হয়না তো মা গুম।
আজও দেখ রনির সাথে হলো কেমন আড়ি,
ঝগড়া করে, দুঃখ নিয়ে, ফিরতে হলো বাড়ি।
আজ পরালে নতুন জামা, কি হবে তার নাম?
ঈদের জামা বলবে না কেউ, কেউ দেবেনা দাম।
মা হেসে কন, ওরে মানিক, ওরে আমার সোনা,
এই দিনে তুই এসেছিলি, স্বপ্ন দিয়ে বোনা।
দিনটাকে তাই উদযাপনে ঘাটতি কেন হবে?
এমন আসর জমিয়ে দেবো সবার মনে রবে।
জন্মের দিন এতখানি দামীই যদি হয়,
দিনটা তবে রিকশাওয়ালা নুরুর কেন নয়?
ওদের তো মা ভাত জোটেনা দুই বেলা পেটপুরে,
জন্মদিনে কেকটা ওরা কাটবে কেমন করে?
তার চেয়ে মা বাদ দাও ওসব, কি বলি তাই শোন,
দিনগুলোকে গুলিয়ে ফেলি বাদ রবে না কোনো।
তোমার ছানা, সোনা, মানিক, হিরের চেয়ে দামী,
একটা দিনে বাঁধবে তাকে, এমন মা কি তুমি?
যে শিশুটির মা নেই তার মিছেই জন্মদিন,
তার সাথে এই দিনটিকে মা করবো আজ বিলীন।