আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকার বুস্টার ডোজ বেশি কাজ করবে বলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় জানা গেছে। এদিকে এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ এবং পাশ্বর্বতী দেশ ভারতেও করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রণ শনাক্ত হওয়ায় বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য। তবে এটি নিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনার ছয়টি ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নিরাপদ, শক্তিশালী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যে ছয়টি ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ শক্তিশালী ইমিউন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার-বায়োটেক, নোভাক্স, জ্যানসেন, মর্ডানা, ভালনেভা এবং কিউরেভ্যাক।
ল্যানসেট সমীক্ষা অনুসারে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ফাইজারের দুটি ভ্যাকসিন ডোজ ছয় মাস পরে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে ৭৯ শতাংশ এবং ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে। সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে, এই বুস্টার ডোজ নিরাপত্তা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলছে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে।
ইউনিভার্সিটি হসপিটাল সাউদাম্পটন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, ইউকে-এর ট্রায়াল লিড প্রফেসর সোল ফাউস্ট বলেছেন, গবেষণা অনুসারে বুস্টার ডোজ সুবিধাভোগীরা ‘ইঞ্জেকশন যেখানে দেওয়া হয়েছে সেখানকার পেশীতে ব্যথা, ক্লান্তি এর মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারেন।’ তবে বুস্টার দেওয়ার আরও তিন মাস এবং এক বছর পর কেমন কাজ করছে তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
বুস্টার ডোজ শরীরে আদৌ দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা এবং ইমিউন তৈরি হচ্ছে কি না তা দেখা হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ফাইজার-বায়োটেক,-এর প্রাথমিক দুই-ডোজ কোর্সের ১০ থেকে ১২ সপ্তাহ পরে দেয়া হয়েছিল এই বুস্টার ডোজ।
সময় জার্নাল/এলআর