এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে রবিবারও মোংলা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। রবিবারে ভোর থেকে থেমে থেমে গুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে হালকা বাতাসও। আকাশ মেঘাচ্ছন্নের পাশাপাশি কুয়াশা বাড়ায় শীতও যেন জেঁকে বসেছে।
তবে বন্দরে অবস্থানরত খাদ্য শস্যসহ অন্যান্য পণ্যবাহী বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন।
এদিকে জাওয়াদের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরের পাড়ের সুন্দরবনের দুবলার চরের শুটকি ব্যবসায়ীরা। গত তিন-চার দিন ধরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ফুটের অধিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে দুবলার চর। ফলে চরে শুকানোর জন্য রাখা প্রায় ২০ লাখ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। যার মূল্য প্রায় কোটি টাকা।
এতে রাজস্ব আয়ের ঘাটতিতে পড়েছে বনবিভাগও। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের দুবলা জেলে পল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় বলেন, ঘূর্নিঝড়ের কারণে তিন-চারদিন ধরে তিন ফুটের অধিক জোয়ারের পানিতে দুবলার চর তলিয়ে যাওয়ায় জেলে-মহাজনদের প্রায় কোটি টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় জেলেরা জাল, নৌকা-ট্রলার নিয়ে চরে অবস্থান করছে। খারাপ আবহাওয়ায় মাছ শুকাতে না পারায় সেগুলো পঁচে যাচ্ছে। এর আগে প্রচুর মাছ হচ্ছিল জেলেদের। গত নভেম্বর এ চরের শুটকি থেকে ৫৭ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে, আর ডিসেম্বরে টার্গেট ছিল ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা আয়ের। কিন্তু ক্ষতির কারণে অর্ধেকে নেমে আসবে রাজস্ব আয়। চরটিতে জেলে ও মহাজন মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার লোক রয়েছে। গত ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ শুটকি মৌসুম চলবে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত।
এমআই