অসামাজিক কর্মকান্ড ও অশ্লীলতার দায়ে মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের এমপি পদের বৈধতা চালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর মঙ্গলবার দুপুরে ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়েন ডা. মুরাদ হাসান।
এরপরই মুরাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্ত্রিত্বের পর দলীয় পদও হারান বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত এ নেতা। ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এতে তিনি হারাতে পারেন জাতীয় সংসদের সদস্য পদও।
এদিকে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে শাহবাগ থানায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসৌজন্যমূলক ও আপত্তিকর অডিও ফাঁস হওয়ার পর সোমবার রাতেই ডা. মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সময় জার্নাল/ইএইচ