গোলাম আজম, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
‘ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই আমাদের দেশের নারী সমাজকে জাগ্রত করতে হবে। কেননা, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী যেখানে নারী কাজেই তাদের পেছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। আজ শিক্ষায়-দীক্ষায় কর্মসংস্থানে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করতে পারছে বলেই তার সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে।’ বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের হোটেল সী প্যালেসের হলরুমে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে ‘কেয়ার বাংলাদেশ’ আয়োজিত “ঐক্য” নারী নেত্রী সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজারের ডিডিএফপি ডাঃ পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউএনএফপিএ’র কক্সবাজার অফিস প্রধান রোসেলিদাহ রামফেল, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ আনুশ খাছাত্রিয়ান, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হাই ও ডাঃ রকিব উল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, ‘বেগম রোকেয়া আমাদের আদর্শ। তিনি নারীদের পথ দেখিয়েছেন। তার সময়ে সমাজে নারীদের লেখা পড়া যেন অপরাধ ছিল। সেই অবস্থা থেকে তিনি নারী জাগরণে কাজ করেছেন। এখন মেয়েরা কোনো দিক থেকে পিছিয়ে নেই। তিনি কেয়ার বাংলাদেশ এর জিবিভি প্রকল্পের এলাকা প্রসারিত করার আহ্বান জানান’।
ইউএনএফপিএ’র কক্সবাজার অফিস প্রধান রোসেলিদাহ রামফেল বলেন, ‘বেগম রোকেয়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মহিলাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছিলেন এবং তাদের শিক্ষার জন্যও লড়াই করেছিলেন। যারা নারীদের জন্য কাজ করছে, তারা তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি পরিবর্তন নির্মাতা হবে’।
ইউএনএফপিএ’র জেন্ডার বিশেষজ্ঞ আনুশ খাছাত্রিয়ান বলেন, ‘নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে মানসিকতাও বদলাতে হবে। চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন আনতে হবে। মনে রাখতে হবে নারীরা কেবল ভোগের বস্তু নয়, নারীরা সহযোদ্ধা। তারা সহযোগী, সহযাত্রায় চলতে হবে, সমান অধিকার দিতে হবে-এটা হচ্ছে বাস্তবতা। সেভাবেই কাজ করতে হবে।’
সমাবেশে জানানো হয়, জিবিভি প্রকল্প প্রযুক্তিগতভাবে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) সমর্থিত এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা (জিএসি) দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছে।
কেয়ার বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে কক্সবাজার জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর রূপান্তরকামী নেতাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে কাজ করছে। এই প্রকল্প অরক্ষিত নারী ও মেয়েদের মানবাধিকারকে শক্তিশালী এবং তাদের সহিংসতামুক্ত সমাজের আশা ও স্বপ্ন পূরণের দেওয়ার চেষ্টা করছে।
সময় জার্নাল/এলআর