ডা. ফয়সাল বিন সালেহ :
#আনন্দ_না_বিষাদ?
সব জন্মদিন কী আনন্দের নাকি কিছু জন্মদিন বিষাদেরও হয়?
প্রতিনিয়ত অন্যদের অনুপ্রাণিত করেন, সাহস জোগান এগিয়ে চলতে কিংবা বিপদে আগলে রাখেন এমন হাজার গুণে সমৃদ্ধ একজন মানুষ, একজন শিক্ষক তার জীবনের আরেকটি বছর যাপন করলেন ব্যাপারটা আনন্দের, আবার আনন্দেরও নয়।
লৌকিক এ পৃথিবীর বুকে কেউই চিরস্থায়ী নয় এ কথাটা মনে হলে যে দুয়েকজনের মুখ আমার অন্তরে ফুটে উঠে তার মধ্যে অন্যতম যিনি - তিনি আমার শিক্ষক, আমার মেন্টর, অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন স্যার। সকলে অন্যের জন্য আশাজাগানিয়া হয় না।
নিরানন্দের এ পৃথিবীতে যিনি আমার জন্য আশাজাগানিয়া, যাকে দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে, হৃদয়ে ঝিলিক দেয় আনন্দ সেই প্রিয় শিক্ষক অনেক অনেকদিন বেঁচে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এর চাইতে বড় কোন কামনা মনে হয় কোন ছাত্র করতে পারে না।
আমরা কত শত ছাত্র তাঁর কাছে কতভাবে যে ঋণী তার হিসেব মেলানো অসম্ভব। পরিচয়ের বিগত ১১ বছরে কোন সময় তাঁকে নিঃস্বার্থভাবে অন্যের জন্য কাজ, সামগ্রিক উন্নতির জন্য কাজ ছাড়া বসে থাকতে দেখি। স্যারের সর্বশেষ কর্মস্থল শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ বা যেখানেই তিনি গিয়েছেন বা আছেন সবখানেই তার উদ্যমী কাজের প্রত্যক্ষ নিদর্শন আছে। কোন একটা কাজের কারণে একদিন স্যারকে বলেছিলাম, "আপনি এই বয়সে এসেও এতো এতো করেন, নিজের জন্য কিছুই ভাবেন না, আমার ভালো লাগে না।" সহাস্যে উত্তরে বলেছিলেন, "সবাই কি কিছু পাবার জন্য করে? আমার ভালো লাগে বলে এসব করি।
.......... কাজটা হলে উত্তরবঙ্গের কত হাজার হাজার মানুষের উপকার হবে সেটা একবার ভেবে দেখোতো?" এক সাধারণ মানুষের সাধারণ চিন্তাভাবনা 😍। প্রিয় এ মানুষের জন্মবার্ষিকীতে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা আমরা সকলে যেনো তাঁর দীর্ঘায়ু দিয়ে আরো বেশি ঋণী হবার সুযোগ পাই। দেশ ও দশের জন্য তিনি কাজ করার আরও বেশি সুযোগ পাক।
শুভ জন্মবার্ষিকী অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন স্যার। অতল শ্রদ্ধা জানবেন 😍।