এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরে ৪ ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর পেট থেকে অবশেষে বের করা হলো প্রায় দুই বছর ধরে পেটে থাকা সেই কাঁচিটি।
শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা।
ডা. রতন কুমার সাহা বলেন, তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে।বিষয়টি বেশ জটিল ছিল। কারণ কাঁচিটি প্রায় দুই বছর ধরে পেটের ভেতরে থাকায় অপারেশন করারও ঝুঁকি ছিল। এরপরও তিন ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর কাঁচিটি বের করতে সক্ষম হই।
তিনি আরো জানান, মনিরার জ্ঞান ফিরেছে। দীর্ঘদিন কাঁচিটি পেটের মধ্যে থাকায় পেটের নাড়ি পেঁচিয়ে যায় এবং একটি নাড়িতে পচন দেখা যায়। রোগী নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। ৭২ ঘণ্টা না গেলে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
ভুক্তভোগীর পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, মনিরাকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশন শেষ করে ৩টা ১০ মিনিটের দিকে অবজারভেশন বেডে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা শুনেছি বোন মনিরার পেটের নারীর কিছু অংশ পচে গেছে। চিকিৎসকের ভুলের কারণে ক্ষতিপূরণ মামলা করা হবে কিনা? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, আগে রোগীকে বাঁচানো আমাদের কাছে বড়। আমরা থানায় জিডি করতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে মনিরাকে ভর্তি করে অপারেশন করার জন্য বলেছে। পরবর্তীতে
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান ( বিপিএম - সেবা) এর দিক নির্দেশনায় শুক্রবার রাতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনিরাকে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, মনিরা খাতুন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ঝুটিগ্রামের খায়রুল মিয়ার মেয়ে। ২০২০ সালের ৩ মার্চ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেটে টিউমার নিয়ে তিনি ভর্তি হন। সাতদিন পর তার অপারেশন করা হয়। এ সময় মনিরার পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এমআই