কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার খাতা যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি দাবি করে গত ৯ ডিসেম্বর এক পরীক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আবেদন করেন। পরবর্তীতে এ প্রসঙ্গে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর পরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে 'Comilla University' নামক একটি ফেসবুক গ্রুপেও শিক্ষার্থীরা নানা মন্তব্য করেছেন।
তাদের মধ্যে অন্যতম ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শরীফ উদ্দিন লিখেছেন, 'পছন্দের স্টুডেন্টকে টিচার বানাতে বিফোর ফাইনালে ৪০ এ ৩৮ দেওয়ার রেকর্ডও আছে। তাও ইংরেজি সাহিত্যে। আবার অপছন্দের কাউকে খাদে ফেলতে ৪০ এ ১৮ দিতেও দ্বিধা করেনা। প্রতিহিংসার চাষ করে আবার লিবারেলিজমের টেবলেট খাওয়াতে চায়। এই পর্যন্ত ৩ বার বোর্ড পিছিয়েছে শুধু পছন্দের প্রার্থী পায়নি বলে।
মাজহারুল ইসলাম হানিফ নামে ইংরেজি বিভাগের এক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, অপছন্দের স্টুডেন্ট যেন এপ্লাই করার যোগ্য না হয় সেজন্য প্লেসধারীকে ৪০ এ ১৬/১৭ দেয়া হয়। আবার প্রিয় ছাত্রী যেন শিক্ষক নিয়োগের আবেদন করতে পারে সেজন্য সহকর্মীকে রেজাল্ট দ্রুত প্রকাশের জন্য মানসিক চাপ ও হেনস্তা করা হয়। এরকম অনেক অসভ্য কাজ কারবার চলে এখানে।
হক মো. মোজাম্মেল নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি হওয়ার দরকার ছিলো সিভিল সার্ভিস থেকেও স্ট্যান্ডার্ড। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত এমন পদ্ধতি চালু হয়েছে মেধার মূল্যায়ন নেই বললেই চলে।
সময় জার্নাল/আরইউ