সময় জার্নাল প্রতিবেদক : একটি স্মার্টফোন আর মাত্র ১৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করা তানজিনা আক্তারের পুঁজি এখন প্রায় ২ লাখ টাকা। মাসে তিনি বিক্রি করেন ৭০ হাজার টাকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য।
সফল এই নারী উদ্যোক্তা পড়াশোনার পাশাপাশি যুক্ত হন অনলাইন ব্যবসায়। অনলাইনে তার পেজের নাম ‘তানজুস অনলাইন শপ’। দেশের বিভিন্ন পাইকারি মার্কেট থেকে তৈরি পোশাক এনে তা অনলাইনে বিক্রি করেন তানজিনা।
তানজিনা জানান, করোনাকালে দেশে লকডাউন শুরু হলে তার মাথায় অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া আসে। তখন বড় ভাই ফারুক হোসেন ও ফরিদ হোসেন তাকে একটি স্মার্টফোন এবং ১৫ হাজার টাকা পুঁজি দেন। পরে সালমা নামে তার এক বন্ধুর সাহায্যে একটি ফেসবুক পেজ খুলে প্রথমে ছয়টি বেডশিটের অর্ডার পান। যাতে তার আয় হয়েছিল ১২০০ টাকা। এরপর আর তানজিনাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মিলছিল একের পর এক অর্ডার। বর্তমানে প্রতি মাসে তানজুস অনলাইন শপের বিক্রি প্রায় ৭০ হাজার টাকা; যা দিন দিন আরো বাড়ছে।
ব্যবসার শুরুর দিকটার গল্প জানাতে গিয়ে তানজিনা আক্তার বলেন, এইচএসসিতে আমি যেহেতু হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ছিলাম, সেহেতু আমি জানতাম উদ্যোক্তা কাকে বলে এবং কীভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায়। এ ছাড়া আমি চেয়েছিলাম আমার দেখাদেখি সমাজের অন্য সব নারীও যেন এ ধরনের উদ্যোগ নেয়। আমি অনেককে এ ব্যবসায় সহযোগিতার হাতও বাড়িয়ে দিয়েছি।
অনলাইন ব্যবসায় সফলতার কারণ জানাতে গিয়ে তানজিনা বলেন, ক্রেতার চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে। এলাকার বাইরের ক্রেতাদের সন্তুষ্টি ও বিশ্বাস অর্জন করতে না পারলে এ ব্যবসায় সফল হওয়া যায় না।
তানজিনা বসবাস করেন মিরসরাই উপজেলার সুফিয়া রোড এলাকায় তার নিজের বাড়িতে। বর্তমানে তিনি নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। মূলত বাড়ি থেকেই তিনি অনলাইন শপ পরিচালনা করেন। তার বাবা আইনুল কবির অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী। মা পুরোদমে গৃহিণী। বড় ভাই ফারুক হোসেন চাকরি করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে। আরেক বড় ভাই ফরিদ হোসেন চাকরি করেন চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠিত গার্মেন্ট কোম্পানিতে।
সময় জার্নাল/এসএ