বিনোদন ডেস্ক: নিয়মের বাইরে গিয়ে ৪৪ বছর বয়সেই গুণী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি কী করে করোনার টিকা নিলেন এ নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। আর তাই রাগ করে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মিথিলা-পতি।
সদ্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণার পর উৎসবমুখর আমেজে রয়েছেন সৃজিত মুখার্জি ও তার সিনেমার ভক্তরা। তার নির্মিত ‘গুমনামি’ এবার সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। যে সিনেমা নিয়ে এতো আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, এমনকি সৃজিতকে হত্যার হুমকিও পেতে হয়েছে, সেই সিনেমা যখন শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পায়, আনন্দ তখন বাঁধভাঙা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
সৃজিতের আনন্দের মধ্যেও বেরসিক নেটিজেনরা পিছু ছাড়েনি। সম্প্রতি কোভিডি ভ্যাক্সিন নিয়েছেন সৃজিত মুখার্জি। তবে ভারতে নিয়ম হলো, ষাটোর্ধ্বরা টিকা পাবেন। আর পাবেন তারা, যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। তবে তাদেরও ৪৫ পেরোতে হবে। এর মধ্যে ৪৪ বছর বয়সী সৃজিত মুখার্জি কীভাবে টিকা পেলেন, তা নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। তার মুখে পড়েই অভিমান হলো পরিচালকের। এক দফা নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু কিছুতেই নেবেন না দ্বিতীয় ডোজটি। তাতে যদি সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে, তো বাড়ুক।
বুধবার (২৪ মার্চ) কোভিড টিকা নিয়ে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার স্বামী সৃজিত। তার নিচেই বইতে শুরু করে প্রশ্নের বন্যা। কেউ জানতে চান, ৪৫ বছর বয়সের আগেই তিনি প্রতিষেধক নিলেন কী করে? কেউ আবার জিজ্ঞেস করেন, বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা নির্মাতার কাছে কোনও নথি দেখতে চাইলেন না কেন!
এসব প্রশ্নের মুখে পড়েই সৃজিত সেই পোস্ট সরিয়ে নেন। বদলে একটি নতুন পোস্ট করেন তিনি। সেখানে জানান, তার এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পেরেছিলেন, ৪৪ বছর বয়স পেরোলেই টিকা নেওয়া যাবে। কিন্তু টিকা নেওয়ার পরে বুঝতে পেরেছেন যে, তথ্যটি ভুল ছিল। যদিও তার উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক।
পোস্টের শেষে অভিমান প্রকাশ করেন সৃজিত। জানালেন, এক দফা টিকা নিয়ে পরের ডোজ না নিলে যদি সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়, তবুও আর হাসপাতালমুখী হবেন না তিনি। সৃজিতের প্রতিজ্ঞা, টিকার দ্বিতীয় ডোজটি কিছুতেই নেবেন তিনি।
সৃজিতের এমন ঘোষণার পর অনুরাগীরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এমনটা যেন মোটেও না করেন তিনি। তিনি যোগ্য না হলে কর্তৃপক্ষ কখনোই তাকে টিকা দিত না বলেও মত প্রকাশ করেন অনেকে।
সময় জার্নাল/আরইউ